ইউক্রেন আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। তবে দেশটি রাশিয়াকে সুবিধা দেয় এমন কোনো যুদ্ধবিরতি মানবে না। দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রধানের একজন উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেছেন। ইউক্রেনের জাতীয় সংবাদ সংস্থা ইউক্রেনফর্ম-এর বরাতে আনাদোলু এজেন্সি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সোমবার টেলিভিশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে উপদেষ্টা সের্হি লেশচেঙ্কো জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন এমন কোনো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না যেখানে রাশিয়ান বাহিনী পুনরায় সংগঠিত হয়ে পরে আবার আক্রমণ শুরু করতে পারে। যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়াকে কোনো সুবিধা দেওয়া উচিত নয়।
তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, যুদ্ধ বন্ধ করার কী কোনো পরিকল্পনা আছে? আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে। আমরা আকাশে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করছি। ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক সব বন্ধ করতে হবে। আমরা সমুদ্রেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করছি। আমরা সেখানে আক্রমণ না করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কৃষ্ণ সাগরে সেনা মোতায়েন রয়েছে। উপরন্তু, আমরা জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর আক্রমণ থেকে বিরত থাকার প্রস্তাব করছি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন স্থলপথে যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে না। কারণ এটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তার সৈন্যদের শক্তিশালী করার এবং যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার জন্য সময় দিতে পারে।
উপদেষ্টার মতে, আপনি যুদ্ধবিরতি চান - আমরা প্রস্তুত। কিন্তু স্থলপথে নয়, যেখানে পুতিন আহতদের সুস্থ করতে, উত্তর কোরিয়া থেকে পদাতিক বাহিনী নিয়োগ করতে এবং এই যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে কয়েক মাস সময় নিতে পারেন।
লেশচেঙ্কো আরও উল্লেখ করেন, ইউক্রেনীয় সামরিক ক্ষয়ক্ষতির ৭০% ড্রোন হামলার কারণে ঘটে। তা প্রতিরোধে মার্কিন সহায়তা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এতটা নয় যে এটি ইউক্রেনের শত্রুদের শেষ করতে প্রতিকূল শর্তাবলি মার্কিনিরা নির্ধারণ করবে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে একটি শান্তিচুক্তির খসড়া প্রস্তুতের কাজ শুরু করতে চায় ওয়াশিংটন। সেই খসড়া নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গত শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন