হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তর্কে জড়ান। তাদের বাগ্বিতণ্ডা ও উত্তেজনায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ইউক্রেনীয়রা। এ ঘটনার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীত কিয়েভবাসী।
শনিবার (১ মার্চ) আলজাজিরা কিয়েভের কিছু বাসিন্দার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। এদের মধ্যে পিওত্র নামের একজন ছাত্র দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীত বলে জানান। ওই ছাত্র বলেন, সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হলো- চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো মূল্যবান মিত্রকে হারানো সত্যিই বোকামি। সম্পর্ক যত খারাপই হোক না কেন চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে আমি বিশ্বাস করি শব্দগুলো (বৈঠকে ব্যবহৃত দুই নেতার তর্ক) কেবল শব্দই থেকে যেত। চুক্তি এবং খনিজ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ সম্পর্ককে স্থিতিশীল করবে। এখন এটি খুবই ভীতিকর পর্যায়ে গেল।
বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা। তবে বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে মতবিরোধ এতটাই বেড়ে যায় যে চুক্তি সই না করেই বৈঠক শেষ হয়।
ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা ওকসানা জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছে না। সম্ভবত আমাদের এই খেলায় দর কষাকষির সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আমরা এ থেকে উত্তরণ ঘটাব, সন্দেহ নেই; সাহায্যসহ বা ছাড়াই। কারণ, আমরা একটি শক্তিশালী চেতনার জাতি। ট্রাম্প বা পুতিন কাউকেই বিশ্বাস করা যায় না। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রপতিকে করা যায়। তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
কিয়েভের আরেক বাসিন্দা অ্যাঞ্জেলিকা বলেন, তিনি হতাশ। ‘আমরা এই বৈঠকের ইতিবাচক ফলাফলের আশা করছিলাম।’
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ওই বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যখন জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন হোয়াইট হাউসে আসতে পারেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের বরাতে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট- ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন