পোপ ফ্রান্সিস সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি ডাবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। প্রথম দিকে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে তার চিকিৎসায় জটিল দেখা দেয়। তবে ধীরে ধীরে তিনি উন্নতির দিকে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সর্বশেষ এক আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের সামান্য উন্নতি হচ্ছে এবং তার রক্ত পরীক্ষা স্থিতিশীল রয়েছে। ৮৮ বছর বয়সী পোপ ডাবল নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়াই করছেন এবং এটিই তার অগ্রগতির সর্বশেষ লক্ষণ।
ফ্রান্সিস রোমের জেমেলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেশ কয়েক দিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগলে ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।
ভ্যাটিকান সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পবিত্র পিতার ক্লিনিক্যাল অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে । তার জ্বর নেই এবং রক্তের গতিবিধি স্থিতিশীল রয়েছে। হেমোডাইনামিক প্যারামিটার কিছুটা ভালো।’
হেমোডাইনামিক প্যারামিটার বলতে শরীরের অঙ্গ এবং টিস্যুর মাধ্যমে রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বোঝায়।
ডাবল নিউমোনিয়া একটি গুরুতর সংক্রমণ যা উভয় ফুসফুসে প্রদাহ এবং ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে এবং শ্বাস নেওয়া আরও কঠিন করে তোলে।
ভ্যাটিকান আগে বলেছিল, পোপের একটি পলিমাইক্রোবিয়াল সংক্রমণ ছিল, যা দুই বা ততোধিক অণুজীবের সংক্রমণের সময় ঘটে। জটিল ক্লিনিকাল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তিনি যত দিন প্রয়োজন তত দিন হাসপাতালে থাকবেন।
পোপ ফ্রান্সিস যৌবনকালে প্লুরিসিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর ফলে তার একটি ফুসফুসের অংশ অপসারণ করা হয়েছিল। এই কারণে তিনি ফুসফুসের সংক্রমণের প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল। ভ্যাটিকানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পোপকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়নি এবং তিনি নিজে থেকেই শ্বাস নিচ্ছেন।
গত কয়েক বছর ধরে পোপ ফ্রান্সিস বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত ফ্লু, সায়াটিকা স্নায়ুব্যথা এবং ২০২৩ সালে অস্ত্রোপচার করা পেটের হার্নিয়া। এসব কারণে তাকে ওষুধ দিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন চিকিৎসকরা।
মন্তব্য করুন