ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, যুদ্ধ থামাতে প্রয়োজনে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্রেমলিন জানায়, ভ্লাদিমির পুতিন ‘প্রয়োজনে’ ইউক্রেনের জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, পুতিন নিজেই বলেছেন যে প্রয়োজনে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ক্রেমলিন। তারা বলছে, এই বাস্তবতা বিবেচনা করে চুক্তির আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছাড় দিতে পারেন ট্রাম্প। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া দেশগুলো এখন সন্দিহান যে যুক্তরাষ্ট্র কতটা আন্তরিকভাবে ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি পুতিনের জন্য ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করছে, কারণ পশ্চিমা ঐক্য দুর্বল হলে ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে রাশিয়া সহজেই সুবিধা নিতে পারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে পারে। এতে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। কারণ রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের কিছু অংশ দখল করেছে এবং সেখানে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও উঠেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইউক্রেনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার একতরফা সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন না।
মন্তব্য করুন