রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্প্রতি টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে দুজনে আলোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, দুই নেতার মধ্যকার এ ফোনালাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তারা ইউক্রেন সংকট নিয়ে কথা বলেছেন।
আরটি জানিয়েছে, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুই নেতার মধ্যে এই ঐতিহাসিক টেলিফোন আলোচনা হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন সংকট তীব্র হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মার্কিন ও রাশিয়ান নেতাদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ এটি। আলোচনার পর ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে দূরে রাখতে আপত্তি নেই এবং এটাও উল্লেখ করেছেন যে ইউক্রেনের পক্ষে গত এক দশকে রাশিয়ার কাছে হারানো অঞ্চলগুলো ফিরে পাওয়া ‘অসম্ভব’ বলে মনে হয়। এ ছাড়াও ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তারা একে অপরের দেশ সফরের আমন্ত্রণ বিনিময় করেছেন।
বুধবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় পেসকভ এই টেলিফোন আলোচনাকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে যা ঘটে আসছে, তার প্রেক্ষাপটে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোনো যোগাযোগ ছিল না। ইউক্রেন সংকট সমাধানে এই পরিস্থিতি সহায়ক হয়নি।
পেসকভ বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন মনে করত যে যুদ্ধ যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য সবকিছু করতে হবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্টতই এই মত পোষণ করে যে যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবকিছু করতে হবে।
ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেন, আমরা বর্তমান প্রশাসনের অবস্থান দ্বারা অনেক বেশি প্রভাবিত,এবং আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের সম্ভাব্য সময়সীমা বা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের আলোচনার বিষয়ে কোনা তথ্য দেয়নি ক্রেমলিন।
ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের (ট্রাম্প-পুতিন) বৈঠক দ্রুত অনুষ্ঠিত হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। রাষ্ট্রপ্রধানদের আলোচনার অনেক বিষয় আছে... এ মুহূর্তে কোনো সময়সীমা অনুমান করাও অসম্ভব।
মন্তব্য করুন