শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে টালমাটাল হয়ে পড়েছে ইউরোপের একটি দেশ। দেশটিতে এবার সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশ সার্বিয়ার একটি সড়ক ও সেতু অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরা। ট্রেন স্টেশনে ছাউনি ভেঙে পড়ে ১৫ জন নিহতের ঘটনার ১০০তম দিনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এপি জানিয়েছে, রাজধানী বেলগ্রেডে সাভা নদীর ওপর গাজেলা সেতু অবরোধ করেন শিক্ষার্থী। পরে এতে স্থানীয় আরও অনেকে যোগ দেন। এ সময় তারা সোভি সাদে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কও প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ করেন। আর নিসের শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ শহরের প্রবেশপথে একটি হাইওয়ে পে টোল স্টেশন অবরোধ করেন।
এর আগে ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোসি ভুকেভিক পদত্যাগ করেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, দেশে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে তিনি পদত্যাগ করেছেন। ভুকেভিক বলেন, ‘সবার কাছে আমার আবেদন আবেগ শান্ত করে সংলাপে ফিরে আসুন।’
এর আগেও দেশটির ছাত্ররা রাজধানী বেলগ্রেডের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেন। এ সময় তাতে যোগ দেন কৃষকরাও। অবরোধে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রকে সংযোগ করা অটোকোমান্ডা জংশন অচল হয়ে পড়ে। স্থবির হয়ে পড়ে দেশের কার্যক্রম। এরপর প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুকিক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে তারা এ আন্দোলন করছেন। তাদের অভিযোগ, গত ১৫ নভেম্বর নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ছাদটি নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি না করলে এত মানুষ নিহত হতো না।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এর কয়েক মাস পর বিদ্রোহীদের ব্যাপক আক্রমণের মুখে দেশ ছেড়ে পালান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তিনি রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারির চেষ্টার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। এর জেরে প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হলেও দেশটির রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটেনি। পরে আদালতের নির্দেশে ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন