যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তার একদিন লাগবে। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে তোড়জোড় শুরু করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। আর এমন খবরে অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা বিপজ্জনক হতে পারে।
রাশিয়ার সঙ্গে এখনো ইউক্রেনের যুদ্ধ চলমান। কিন্তু এই যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে নির্বাচন চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলোগ বলছেন, দ্রুত ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়ে যাওয়া উচিত। বছরের শেষ নাগাদ এই নির্বাচন হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রাম্পের বিশেষ দূতের কথায়, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতি না হলেও ভোটাভুটি হওয়াই বাঞ্ছনীয়। যুদ্ধের মধ্যেও অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হওয়ার নজির রয়েছে বলেও জানান তিনি। মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তার এমন মন্তব্যের পর অনেকে বলছেন, জেলেনস্কিকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এমন কিছু ঘটলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও জোরালো হবে বলে মনে করছেন তারা।
এর আগে জেলেনস্কি অভিযোগ করেছিলেন, ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বসলে তা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক থাকলেও ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় কিয়েভ বাদ থাকলে তা সবার জন্য বিপজ্জনক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবেই ইউক্রেনকে নির্বাচনে আনতে চাইছেন কেলোগ ও হোয়াইট হাউসের অন্য কর্মকর্তারা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব দেশে বছরের পর বছর হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছে রাশিয়া। তবে নির্বাচন নিয়ে ইউক্রেনের ভেতর থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
স্বাভাবিকভাবে গেল বছরই জেলেনস্কির প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে মার্শাল ল জারি করায় এখনো নির্বাচন করা যায়নি ইউক্রেনে। এর আগে ২০২৩-২৪ সালে বাইডেন প্রশাসনও নির্বাচনের জন্য জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিল। তখনও কৌশলে তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি।
মন্তব্য করুন