সরকারের দুর্নীতি ও অদক্ষতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে সার্বিয়ার শিক্ষার্থীরা। গত নভেম্বরে বিক্ষোভ শুরু হয়। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নোভি সাদে একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন মারা যাওয়ার পর এ আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
শিক্ষার্থীরা মনে করছে, এ দুর্ঘটনার জন্য সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দায়ী।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভে চাপে রয়েছে প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুসিচ।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক ও সেতু অবরোধ করেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ করেছে। তাদের দাবি, যারা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। তারা শুধু দুর্ঘটনা নয়, সার্বিয়া সরকারে সর্বস্তরে দুর্নীতি ও অদক্ষতা বন্ধ চাচ্ছে।
এই আন্দোলন দ্রুত সার্বিয়ার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাজধানী বেলগ্রেডে। সেখানে ২৪ ঘণ্টার সড়ক অবরোধে প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুচেভিচসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীরা দৃঢ়ভাবে বলছে, তারা ভয় পাচ্ছে না এবং কখনো আন্দোলন থামাবে না।
বিক্ষোভের সময় শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, কৃষকরাও তাদের সমর্থন জানিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। শহরের সড়ক ও সেতু অবরোধের কারণে স্থানীয় জনগণের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি দেখা গিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা নিজেদের দাবির পক্ষে থাকবে এবং আদায় না করা পর্যন্ত শান্ত হবে না।
এদিকে আন্দোলনকে বিদেশি শক্তির প্রভাবে চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে সার্বিয়ার সরকার। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের আন্দোলন একেবারেই দেশীয় এবং তারা সার্বিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়।
মন্তব্য করুন