এর আগের নির্বাচনেই যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হতেন, তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বাধত না বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাশিয়ান রসিয়া-১ টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন সেসব কথা বলেন। এ সময় তিনি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে শান্তি আলোচনার জন্য ‘উন্মুক্ত’ বলেও মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হতেন, তাহলে ২০২২ সালে ইউক্রেন সংকট দেখা দিত না, তা হয়তো ঘটত না।
তিনি বলেন, মস্কো কখনো মার্কিন প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ প্রত্যাখ্যান করেনি। বরং পূর্ববর্তী প্রশাসন এই ধরনের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে পুতিন বলেন, এটি পুরোটাই ব্যবসায়িক। তবে অবশ্যই বাস্তববাদী এবং বিশ্বাসভিত্তিক। তিনি আরও বলেন, আমি তার সাথে একমত না হয়ে পারছি না, তিনি যদি রাষ্ট্রপতি হতেন, যদি ২০২০ সালে তার জয় তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া না হতো, তাহলে হয়তো ২০২২ সালে ইউক্রেন সংকট দেখা দিত না।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হয়ে শপথগ্রহণ করলে পুতিন তাকে অভিনন্দন জানান। এর কিছু দিন পর ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়াকে আলোচনার জন্য কড়া হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, পুতিনকে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, তা না হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এখনই মীমাংসা করুন, এই হাস্যকর যুদ্ধ থামান। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। যুদ্ধ বন্ধ না করলে বাড়তি কর, মাসুল, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।’ ট্রাম্প বলেছেন, ‘আপনি যদি চুক্তি না করেন, তাহলে রাশিয়া ও যুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্য দেশের বিরুদ্ধে চড়া হারে কর, শুল্ক বসানো ও আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া আমার সামনে কোনো বিকল্প থাকবে না। আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এ যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখন এটা বন্ধ করুন। আমরা সহজ বা কঠিন রাস্তায় হাঁটতে পারি। সহজ রাস্তা সবসময়ই ভালো। তাই চুক্তি করার পক্ষে এটাই সেরা সময়। আর কোনো জীবন যেন নষ্ট না হয়।’
এর প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ বলেন, আমরা এতে বিশেষ কিছু দেখছি না।
মন্তব্য করুন