কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অন্য দেশের পুলিশ প্রধানকে গ্রেপ্তার ঘিরে নাটকীয়তা

হ্যান্ডকাপ ও আদালতের সরঞ্জাম। ছবি : সংগৃহীত
হ্যান্ডকাপ ও আদালতের সরঞ্জাম। ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইতালিতে লিবিয়ার পুলিশ প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ছড়ানোর কয়েক ঘণ্টা পর আসে ভিন্ন খবর। টানটান উত্তেজনার মধ্যে সৃষ্টি হয় নাটকীয় পরিস্থিতির। শেষমেশ ওই পুলিশ প্রধানকে গ্রেপ্তার রাখতে পারেনি ইতালি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র রয়টার্সকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানা অনুসারে গ্রেপ্তার হওয়া লিবিয়ার বিচারিক পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্যকে ইতালি মুক্তি দিয়েছে।

ইতালির বিচার মন্ত্রণালয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, সাময়িক সময়ের জন্য গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম নাজিম ওসেমা আলমাসরি হাবিশ। তবে লিবিয়ার সরকারি রেকর্ডে তার নাম ওসামা নজিম। মুক্তি পেয়ে এ ব্যক্তি ইতিমধ্যেই ত্রিপোলির উদ্দেশ্যে একটি ফ্লাইটে উঠেছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আইনি জটিলতার কারণে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারণ তাকে গ্রেপ্তার করা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বিচার মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে ব্যর্থ হয়।

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার উত্তর ইতালির শহর তুরিনে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অভিবাসী উদ্ধারকারী গোষ্ঠী এবং মানবাধিকার দাতব্য সংস্থাগুলো তার গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানায়।

ইতালীয় দৈনিক অ্যাভভেনাইর সর্বপ্রথম গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করে। তারা জানায়, নজিম লিবিয়ার বিচার বিভাগীয় পুলিশে কর্মরত থেকে ত্রিপোলিতে একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্র পরিচালনা করছেন। তিনি শক্তিশালী সামরিক বিশেষ ডিটারেন্স ফোর্সের সাথে যুক্ত ছিলেন।

ইতালির বিচার মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইসিসি কর্তৃক ওয়ান্টেড নাজিম ইতোমধ্যে ত্রিপোলিতে ফিরে যাচ্ছেন।

তিনি লিবিয়ার বিচার বিভাগীয় পুলিশের প্রধান এবং মিতিগা কারাগারের পরিচালক ছিলেন বলে জানা গেছে। ত্রিপোলির কাছে অবস্থিত এই কারাগারে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, অভিবাসী ও শরণার্থীদের নির্বিচারে আটক, নির্যাতন করা হতো। নাজিমের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি এখনো কারাগারের কোনো ভূমিকায় আছেন কি না তা স্পষ্ট নয়।

এদিকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে ইতালির বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, এর পেছনে অন্য কূটনৈতিক যোগসাজশ থাকতে পরে।

প্রসঙ্গত, ইতালীয় অভিবাসী উদ্ধার দাতব্য সংস্থা মেডিটেরেনিয়া, জাতিসংঘ, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এবং ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের মতো আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো লিবিয়ায় অভিবাসীদের ব্যাপক নির্যাতন ও শোষণের তথ্য প্রকাশ করে আসছে। তারা এসব নির্যাতন সমর্থন এবং উৎসাহিত করার পেছনের কারিগরদের সমালোচনায় মুখর। সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনে দায়ীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে সোচ্চার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১০০০ গোলের লক্ষ্যের আরও কাছে রোনালদো

‘কাফন রেডি রাখিস, ছাত্রলীগ ফিরবে; জয় বাংলা’

বোমা হামলার হুমকি পাওয়া বিমানটিতে তল্লাশি

নতুন মামলায় কামাল মজুমদার, মামুনসহ গ্রেপ্তার ৪

ঢাবি ক্যাম্পাসের গাছে ঝুলছিল মরদেহ 

ঝুঁকি নিয়ে পারাপার, ভোগান্তিতে ৪০ গ্রামের মানুষ

বার্সার নাটকীয় জয়, টানেলে বেনফিকার অপমানের জবাব

মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ 

নাহিদার ঘূর্ণিতে সরাসরি বিশ্বকাপের আশা বাঁচল বাংলাদেশের

একজন মানুষকে আর কতবার রিমান্ডে নেওয়া যায়, প্রশ্ন আইনজীবীর

১০

মধুমতি মডেল টাউনে উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

১১

যুবদল সভাপতির বোনের মৃত্যুতে সম্পাদকের শোক

১২

পদ ছাড়ার কারণ জানালেন সারজিস

১৩

পিলখান হত্যাকাণ্ড / ২৬ দিন চাকরির ১৬ বছর ঘানি টেনে অবশেষে মুক্তির হাওয়া

১৪

গোপন কারাগারে শিশুদেরও বন্দি রাখতেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ

১৫

পদ ছাড়লেন সারজিস

১৬

পলক-আতিক-সাদেক খান ফের রিমান্ডে

১৭

ইতালি থেকে আসা বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি

১৮

মাইকিং করে চাঁদাবাজদের সতর্ক করল বিএনপি

১৯

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু

২০
X