নতুন বছরের শুরুতেই রাশিয়ায় ক্যানসারের জন্য একটি নতুন ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। রাশিয়া আগে জানিয়েছিল, তারা ক্যানসারের একটি টিকা তৈরি করছে, যা কয়েকটি গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতায় উন্নত করা হচ্ছে। দেশটির বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে এই ভ্যাকসিনটি রোগীদের জন্য ব্যবহারের উপযোগী হবে।
রাশিয়ার গামলেয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, আগামী বছরে হার্টসেন অনকোলজিকাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ব্লোখিন ক্যানসার সেন্টারে সীমিত পরিসরে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ শুরু হবে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন টিউমারের বৃদ্ধি এবং মেটাস্টেস (ক্যানসারের ছড়ানো) রোধ করতে সাহায্য করে।
তবে, ক্যানসারের কোনো ধরনের চিকিৎসায় এই ভ্যাকসিন কার্যকর হবে এবং এর কার্যকারিতা কতটা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভ্যাকসিন তৈরি করছেন, যা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছিল। এই প্রযুক্তি শরীরে একটি প্রোটিন তৈরি করে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
রাশিয়ার গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম হচ্ছেন। নতুন ভ্যাকসিনটি তৈরিতে গাণিতিক ভাষা এবং কম্পিউটিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা এখন অর্ধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
এর আগে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটি জার্মান বায়োটেকনোলজি কোম্পানির সঙ্গে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ ছাড়া ওষুধ কোম্পানি মডার্না এবং মার্ক অ্যান্ড কোম্পানি বর্তমানে ত্বকের ক্যানসারের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে।
বাজারে ইতোমধ্যেই এমন ভ্যাকসিন রয়েছে যা ক্যানসার প্রতিরোধের কাজ করে, যেমন হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস-এর বিরুদ্ধে লড়াই করা ভ্যাকসিন, যা সার্ভিকাল ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সূত্র : রাশিয়ান টুডে
মন্তব্য করুন