বাংলাদেশ থেকে ফেরা রুশ জাহাজ উরসা মেজর ডুবে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক রুট ভূমধ্যসাগরে জাহাজটি ডুবে যায়। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাহাজটি ডুবে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাহাজটিকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়।
রাশিয়ার পতাকাবাহী এ জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে তার আগে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, জাহাজ মূল মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ‘স্পার্টা-৩ এ’। রং ও নাম বদল করে এ নামে চলাচল করছে এটি। এরপর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটিকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
ওই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানার পর জাহাজটিকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কূটনৈতিক চিঠির মাধ্যমে ক্ষোভ জানায় রাশিয়া। পরে জাহাজটি ভারতে চলে যায়। সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু দিল্লিও অনুমতি না দেওয়ায় ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০০৯ সালে ওই জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ ছিল অবোরোনলোজিসতিকা নামে একটি কোম্পানির হাতে। এই কোম্পানিটি আবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক নির্মাণ অপারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
উরসা মেজর নামের কার্গো জাহাজটি রাশিয়ার একেবারে পূর্ববর্তী বন্দর ভ্লাদিভোস্তোকে যাচ্ছিল। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, স্পেন ও আল জেরিয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় ডুবে গেছে ওই কার্গো জাহাজটি। এতে জাহাজের দুজন ক্রু এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তারা জানান, ১৬ জন ক্রুর মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করা গেছে। তাদের স্পেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের কারণেই ওই জাহাজটি ডুবে যায়। তবে কী কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানায়নি রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন