ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়ছে উত্তর কোরিয়ার সেনা। তাদের অগ্রবর্তী দল ইতিমধ্যে বড় ধরনের অভিযানেও অংশ নিয়েছে এবং ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। এ নিয়ে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্রের উদ্বিগ্নতার মধ্যেই নতুন তথ্য এলো। সেই তথ্যে আতঙ্কিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলেনস্কি দাবি করেছেন- উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় আরও সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠাতে পারে। এতে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়বে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে তিন হাজারের বেশি উত্তর কোরিয়ার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে। পিয়ংইয়ং মস্কোর সেনাবাহিনীর জন্য আরও সেনা ও সরঞ্জাম পাঠাতে পারে। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে অতিরিক্ত সৈন্য এবং সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের এই বিষয়ে কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।
জেলেনস্কি তার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার অলেক্সান্ডার সিরস্কির কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পাওয়ার পর এক্স-বার্তায় এসব দাবি করেন।
জেলেনস্কি বিপুল উত্তর কোরিয়ার সেনা নিহতের দাবি করলেও দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য বলছে অন্যকিছু। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১০০ উত্তর কোরিয়ার সৈন্য নিহত হয়েছে। পার্লামেন্টে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ব্রিফ করার পর এমপি লি সুং-কোয়ান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি জানান, আরও এক হাজার সেনা আহত হয়েছেন। তাদের মধ্য থেকেও অনেকে মারা যেতে পারেন।
তিনি বলেন, হতাহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আছেন। সৈন্যদের ভূখণ্ড এবং ড্রোন যুদ্ধের সঙ্গে পরিচিতির অভাবে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
উত্তর কোরিয়ার হতাহতের প্রথম রিপোর্ট এই সপ্তাহের শুরুতে এসেছিল। অক্টোবরে জানা যায়, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে ১০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া তাদের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লুকাতে চাচ্ছে। আর তাই কুরস্ক অঞ্চলে চলমান অভিযানে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু অপ্রস্তুত এই সেনারা যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে বেঘোরে মারা পড়ছে। কারণ, ওই সেনারা আধুনিক ড্রোন ও আকাশ যুদ্ধ মোকাবিলায় অভ্যস্ত নয়।
মন্তব্য করুন