যুক্তরাষ্ট্রের শত চাপেও দমেনি কাতার। এখন সেই কাতারকেই ভয় দেখায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু কাতারও কম যায় না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চোখে চোখ রেখে কথা বলছে দেশটি। উল্টো ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে কাতার।
মরুময় দেশ কাতারের শ্রমবাজার নিয়ে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ। দেশটি জোরপূর্বক শ্রমের বাধ্য করে আবার পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও দোহার খুব একটা মাথাব্যথা নেই। আর এই ইস্যুতে সামনে এনেই কাতারকে চাপে ফেলতে চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তবে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল-কাবি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো যদি এ নিয়ে তার দেশের ওপর চড়াও হয়, তাহলে গ্রুপটির কাছে গ্যাস বিক্রি বন্ধ করে দেবে দোহা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, সেখানে ব্যবসা করতে হলে এসব নিয়ম মানতে হবে। না হলে দিতে হবে জরিমানা। এরপরই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে কাতার। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এমনিতেই গ্যাস সংকটে ভুগছে ইউরোপ। সেই ঘাটতি মেটাতে নানা বিকল্প বেছে নিয়েছিল তারা। তবে কাতার যদি এখন সত্যি সত্যিই গ্যাস বিক্রি বন্ধ করে দেয়, তাহলে ইউরোপ আরও বিপদে পড়বে।
বিশ্বে এলএনজি রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে কাতার অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে এশিয়া ও ইউরোপের বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে চাইছে দেশটি। এজন্য ২০২৭ সাল নাগাদ তরলীকৃত গ্যাসের উৎপাদন প্রতি বছর ৭৭ মিলিয়ন থেকে ১৪২ মিলিয়ন টনে উন্নীত করতে চায় কাতার।
মন্তব্য করুন