সিরিয়ার হুমাইমিম বিমান ঘাঁটি ঘিরে চলছে নতুন কূটনৈতিক উত্তাপ। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দীর্ঘদিনের মিত্র রুশ বাহিনী এখানেই তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে বর্তমান বাস্তবতায় রাশিয়া বাধ্য হচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস)-এর সঙ্গে গোপনে মধ্যস্থতায় নামতে।
সিরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৈন্য ও সরঞ্জাম সরিয়ে রাশিয়া হুমাইমিম বিমান ঘাঁটিতে একত্রিত করছে। বিদ্রোহীদের চাপে পড়া রুশ বাহিনী এখন এ ঘাঁটিতে টিকে থাকার লড়াই করছে। বিদ্রোহীদের শক্ত অবস্থানের মধ্যেও দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনার প্রক্রিয়া। সংবাদমাধ্যম ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সিরিয়ার এইচটিএস সূত্র জানায়, তারা রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে বাস্তববাদী চিন্তা করছে। রাশিয়ার কিছু সামরিক ঘাঁটি ও তারতুস বন্দরের ইজারা চুক্তি বহাল রাখার বিষয়ে রাজি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত সুবিধাভিত্তিক হবে, কোনো আদর্শের ওপর নয়।
এ মুহূর্তে রাশিয়ার ঘাঁটিগুলো বিদ্রোহী জোট ঘেরাও করে রেখেছে। ফলে রুশ সৈন্যদের খাবার ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ঘাঁটির অভ্যন্তরে ময়লা-আবর্জনা জমে উঠছে। বিদ্রোহীরা রুশ বাহিনীকে ৪টি বিমান ঘাঁটি খালি করে হুমাইমিমে একত্রিত হওয়ার সুযোগ দিলেও তাদের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।
রাশিয়া হুমাইমিম বিমান ঘাঁটি ও টারতুস বন্দরের সুবিধা অব্যাহত রাখার শর্তে সিরিয়াকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব শুধু এতেই সন্তুষ্ট নয়। তারা রাশিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক চায়।
অপরদিকে, বিদ্রোহী জোট নিজেদের আফগানিস্তানের তালেবানদের মতো বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী হিসেবে দেখতে চায় না বিশ্বে। এদিকে রাশিয়া ও বিদ্রোহী জোটের মধ্যস্থতার এই প্রক্রিয়া এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।
মন্তব্য করুন