ঘরের পাশে ন্যাটোর ঢুকতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রে চলছে যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে এক পক্ষ রাশিয়া। আর তার বিপরীতে রয়েছে ইউক্রেন। অবশ্য পেছন থেকে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াকে কৌশলে যুদ্ধে ব্যস্ত রেখে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মার্কিন স্বপ্ন অবশ্য পূরণ হয়নি।
ভলোদিমির জেলেনস্কির মতো দুর্বল নেতার ওপর ভর করে, এমন পরিকল্পনা রীতিমতো ভেস্তে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কোকে ভয় দেখাতে মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলারও অনুমতি দিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের কর্তা জো বাইডেন। কিন্তু উল্টো নিজেদের পরমাণু নীতিতেই পরিবর্তন আনে মস্কো।
এবার ইউক্রেন যুদ্ধ কতদিন চলতে পারে, তার ইঙ্গিত দিয়েছে ক্রেমলিন। মঙ্গলবার ক্রেমলিন জানায়, সামরিক অ্যাকশন বা আলোচনার মাধ্যমে পুতিনের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকবে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পুতিন বলছেন, ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হবে ইউক্রেনকে। আর রাশিয়ার দাবি করা চার অঞ্চল থেকে ইউক্রেনকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তবে পুতিনের এমন শর্তকে আত্মসমর্পণ বলে মনে করে কিয়েভ।
এর আগে সোমবার জেলেনস্কি ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানের দাবি জানান। পাশাপাশি কিয়েভ ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটিকে রক্ষায় ইউক্রেনে বিদেশি সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা পেশ করেন। এরপরই ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য করা হলো।
ক্রেমলিন বলছে, কিয়েভের অনাগ্রহের কারণেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো আলোচনা হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন