মাস খানেক আগে ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেয় মার্কিন প্রশাসন। তারপরই জোর গুঞ্জন উঠে সোভিয়েত যুগের ছেড়ে দেয়া পারমাণবিক অস্ত্রও ফেরত পেতে পারে কিয়েভ। অন্যদিকে পশ্চিমা দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে নিজেদের পারমাণবিক নীতিমালাও পাল্টে ফেলেছে মস্কো। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে পরমাণু অস্ত্র ফেরত দেয়া নিয়ে মুখ খুলেছে ওয়াশিংটন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হওয়ার পর ইউক্রেন যেসব পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছিল, সেগুলো তাদের ফেরত দেয়ার কথা ভাবছে না যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান এ কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে কিছু অজ্ঞাতনামা পশ্চিমা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদ শেষ হবার আগে ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র ফেরত দিতে পারেন।
এমন খবরের প্রতিক্রিয়ায় জ্যাক সুলিভান জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে যাতে তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু ইউক্রেনকে পারমাণবিক সক্ষমতা দেয়া ওয়াশিংটনের লক্ষ্য নয়। গত সপ্তাহে রাশিয়া এই ধারণাকে ‘স্রেফ পাগলামি’ বলে আখ্যায়িত করে বলে, এ ধরনের সম্ভাবনা এড়ানোর জন্য মস্কো ইউক্রেনে সৈন্য পাঠিয়েছে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়ার পর ইউক্রেন উত্তরাধিকার সূত্রে বেশ কিছু পারমাণবিক অস্ত্র পায়। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে সম্পাদিত বুদাপেস্ট মেমোরান্ডামের অধীনে এসব অস্ত্র ত্যাগ করে কিয়েভ, বিনিময়ে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
মন্তব্য করুন