মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে স্থলমাইন (অ্যান্টি-পারসোনাল ল্যান্ডমাইন) সরবরাহে সম্মতি দিয়েছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশে সম্মত হননি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, মাইনগুলো শিগগিরই ইউক্রেনে পাঠানো হবে এবং সেগুলো ইউক্রেনের ভূখণ্ডেই ব্যবহার করা হবে। ইউক্রেন জানিয়েছে, জনবহুল এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হবে না।
রাশিয়ার সেনাদের অগ্রগতি থামাতে এই মাইনগুলো প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত, রাশিয়ার সেনারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। যা ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
এদিকে, কিয়েভে সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কায় মার্কিন দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ইতালি ও গ্রিসও তাদের দূতাবাস বন্ধ করার কথা জানিয়েছে।
রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের ২০ শতাংশেরও বেশি এলাকা মাইন ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের টিকে থাকার প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইউক্রেন। মঙ্গলবার রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় এ হামলা হয় বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়। এক বিবৃতিতে রাশিয়া বলে, ইউক্রেন আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে হামলা চালায়। এ হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনকে স্থলমাইন দেওয়ার সিদ্ধান্ত যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে পারে।
মন্তব্য করুন