জার্মানির ২১তম সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু ক্ষমতাসীন জোটে ভাঙনের জেরে দেশটিতে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব উঠেছে। ফলে মেয়াদপূর্তির আগেই ক্ষমতা হারাতে পারেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। তার দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ।
আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানির শাসক দল এবং প্রধান বিরোধী দল আগাম নির্বাচনে একটি একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হতে পারে। দলগুলোর নেতারা মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) পার্লামেন্টারি গ্রুপ লিডার রল্ফ মুটজেনিচ সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা প্রধান বিরোধী খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটদের (সিডিইউ/সিএসইউ) সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে একমত হয়েছেন। দুদলের নেতারা নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে এনে নির্ধারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। চ্যান্সেলর ১১ ডিসেম্বর লিখিতভাবে আস্থা ভোট শুরু করবেন। পরবর্তীতে ১৬ ডিসেম্বর সংসদে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
মুটজেনিচ আরও বলেন, চুক্তিটি ফেব্রুয়ারিতে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করে। যা দলগুলোকে সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ আইন নিয়ে আলোচনা করার জন্য যথেষ্ট সময় দেবে। সেসব সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগেই পাস করার ইঙ্গিত দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কিত বিষয়ে গ্রিনস এবং লিবারেল ফ্রি ডেমোক্র্যাটসের (এফডিপি) সাথে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির তীব্র বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে এ ত্রিমুখী জোটের আকস্মিক ভাঙন ঘটে। এরপর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আগাম নির্বাচনে তারিখ ঘোষিত হলো।
চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের নেতৃত্বে ওই তিন দল মিলে জোট সরকার গঠিত হয়েছিল। জোট সরকার থেকে লিবারেল ফ্রি ডেমোক্র্যাটসের সভাপতি অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে মন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করেন। এতে জোট সরকার পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। ওলাফ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে আস্থা ভোট এবং ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান বিরোধী খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে আলোচনায় ওলাফের দাবি টিকেনি। আসন্ন রাজনৈতিক সংকট এড়াতে তার দলকে আগাম নির্বাচনের নতুন তারিখ মেনে নিতে হয়েছে।
মন্তব্য করুন