শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরমধ্যে সিব জরিপে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সম্ভাব্য জয়ের বিষয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক ডজনেরও বেশি ইউরোপীয় রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলার পর শনিবার (০২ নভেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য ইইউ নিজেকে প্রস্তুত করছে।
এসব শীর্ষ ব্যক্তিরা ইংগিত দিয়েছেন যে ইইউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যিনিই নির্বাচিত হন না কেন দেশটির ওপর তারা নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চাইছে। নীতিনির্ধারকরা বলেন, ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিজয়ের ব্যাপারে তারা আস্থাশীল। রিপাবলিকানরা আশাবাদী যে তারা ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করবেন। এজন্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন আকস্মিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে জোটটি।
জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাইকেল স্টেম্পফ্লে বলেন, একটা জিনিস পরিষ্কার : আমরা এখানে খরগোশের মতো বসে নেই। মার্কিন নির্বাচনে যে জিতুক না কেন, ভবিষ্যতে মার্কিন মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ক্রমশ ইন্দো-প্যাসিফিকের দিকে থাকবে। ইউরোপীয়দের তাদের নিরাপত্তার জন্য আরও বেশি কিছু করতে হবে।
ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিজয়কে সামনে রেখে ইইউ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা রেখেছে। এর আগে গতবার তিনি নির্বাচিত হয়ে ন্যাটো মিত্রদের যৌথ নিরাপত্তায় আরও অবদান রাখার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। এবং এমনকি তিনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ব্লক থেকে সম্পূর্ণভাবে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্পের চিন্তা-ভাবনা ও রাজনৈতিক দর্শন ইউরোপীয়দের কাছে পরিচিত হওয়ায় এটি সম্পর্কে বিশেষ প্রভাব ফেলবে না।
জার্মানির পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির ডেপুটি চেয়ার টমাস আর্ন্ডল বলেন, এটি একটি সত্য যে বাইডেন সম্ভবত শেষ রাষ্ট্রপতি যিনি চরিত্র এবং কর্মজীবনের দিক থেকে প্রথাগত অর্থে সত্যিই ট্রান্সআটলান্টিক। এখন তিনি না থাকায় ইউরোপকে অবশ্যই আরও দায়িত্ব নিতে হবে, বিশেষ করে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।
মন্তব্য করুন