ইসরায়েল ইস্যুতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জার্মানি। কিন্তু মাসের ব্যবধানে সে সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেনি দেশটি। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ নিজেই আগের অবস্থানে ফিরে আসার ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসেছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ শিগগিরই ইসরায়েলকে আরও অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা অস্ত্র সরবরাহ করেছি এবং অস্ত্র সরবরাহ করব। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতদের স্মরণে এক অনুষ্ঠানে চ্যান্সেলর এ কথা বলেন।
বার্লিন ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানি বিলম্বিত করছে বলে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে তিনি এমন ঘোষণা দিলেন। এ সময় শিগগিরই ইসরায়েলকে আরও অস্ত্র সরবরাহ করতে জার্মানি প্রস্তুত বলেও জানান চ্যান্সেলর।
অথচ গত মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জার্মানির কর্মকর্তাদের বরাতে জানায়, ইসরায়েলকে আর নতুন করে কোনো অস্ত্র দিচ্ছে না জার্মানি। তারা ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির লাইসেন্স অনুমোদন করা বন্ধ করেছে। কারণ, এ ক্ষেত্রে আইনি ও রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। অস্ত্র রপ্তানির মাধ্যমে জার্মানি ইসরায়েলকে শক্তিশালী করছে। এসব অস্ত্র বেসামরিকদের ওপর হামলায় ব্যবহৃত হওয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জার্মানিও জড়িত বলে বিশ্বমহলে সমালোচনার কথাও স্বীকার করেছিলেন জার্মান কর্মকর্তারা।
এদিকে জার্মানির নতুন সিদ্ধান্ত ফ্রান্সের সাথে মতভেদ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, গত সপ্তাহে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখো গাজায় ব্যবহারে অস্ত্র রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিন্দাও করেন। এ ছাড়া লেবাননে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছে ফ্রান্স।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত জার্মান অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি ধীরে ধীরে কমিয়েছে জার্মানি। গত মাস থেকে তারা নতুনভাবে রপ্তানির অনুমোদনও স্থগিত রেখেছে। এ জন্য জার্মানির বর্তমান সরকারকে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
মন্তব্য করুন