আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনে। যেখানে ইউক্রেনকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। বলা হচ্ছে, রাশিয়ায় ক্রুজ মিসাইল হামলা চালাতে ইউক্রেনকে গ্রিন সিগন্যাল দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যাতে রীতিমতো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেন তিনি। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আন্তর্জাতিক আইন ও পূর্বশর্ত পরিবর্তনের বিষয় বিবেচনার কথাও জানিয়েছেন পুতিন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় আঘাত করা হয়, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে এর জবাব দিতে পারবে রাশিয়া। কোনও পরমাণু শক্তিধর দেশের সমর্থনে যদি কোনও দেশ রাশিয়ায় হামলা চালায়, তবে সেটি যৌথ হামলা বলে বিবেচনা করা হবে।
এতেই করে বোঝা যায়, রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে এর জবাব দেবে রাশিয়া। তথ্য বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে রাশিয়ার হাতে।
বলা হচ্ছে, মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৮৮ শতাংশই রয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। মূলত চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করার পরিণাম সম্পর্কে আগেভাগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন পুতিন।
এর আগে নিজেদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক মনোভাব পোষণকারী দেশের তালিকা প্রকাশ করে রাশিয়া। এ তালিকায় ৪৭টি দেশের নাম উল্লেখ করেছে দেশটি। গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন দেশগুলোর এ তালিকার অনুমোদন দিয়েছেন। এসব দেশ রাশিয়ার আধ্যাত্মিক এবং নৈতিক মূল্যবোধের পরিপন্থি। তালিকায় ৪৭টি দেশের নাম রয়েছে। তাস জানিয়েছে, তালিকায় থাকা দেশগুলো প্রথাগত রাশিয়ান আধ্যাত্মিক এবং নৈতিক মূল্যবোধের বিরোধিতাকারী ধ্বংসাত্মক নিওলিবারেল মতাদর্শিক মনোভাব আরোপ করে এমন নীতিগুলো বাস্তবায়ন করে।
রাশিয়ার এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ রয়েছে। এ ছাড়া ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে তুরস্ক।
মন্তব্য করুন