ইউক্রেনের একটি বন্দর ও শস্য সংরক্ষণাগারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। বুধবার (২ আগস্ট) ভোরে কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী একটি বন্দর ও গুদামে হামলা করে রাশিয়া। এতে বেশ কয়েকটি অবকাঠামোতে আগুন ধরে যায়। তবে হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনের ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার টেলিগ্রামে জানান, বুধবার ভোরে ওডেসা অঞ্চলের দক্ষিণে বন্দর ও শস্য গুদামে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে বেশ কয়েকটি অবকাঠামোতে আগুন ধরে যায়। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
আরও পড়ুন : রুশ মন্ত্রীদের কার্যালয়ে ড্রোন হামলা
ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগর থেকে এসব স্থাপনায় হামলা করা হয়। এরপর ড্রোনগুলো দানিয়ুব নদীর পাশ দিয়ে পশ্চিমের এলাকা ইজমালের দিকে চলে যায়। ইজমাল ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান বন্দর। এ বন্দরটি দিয়েই ইউক্রেনের শস্য রোমানিয়ার কনস্টান্টা বন্দরে পাঠানো হয়।
কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার শস্যচুক্তি বাতিলের পর রোববার (৩০ জুলাই) ইউক্রেনের অন্যতম এ বন্দরটিতে বেশ কয়েকটি বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ নোঙর করে। চুক্তি বাতিলের পর প্রথমবারের মতো জাহাজগুলো বন্দরে পৌঁছেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের মাঝে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরে বছরব্যাপী শস্য রপ্তানি চুক্তি হয়। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ১৭ জুলাই এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া। রাশিয়ার দাবি, পশ্চিমা বিশ্ব তাদের ওপর শস্য ও সার রপ্তানির বিধিনিষেধ তুলে নিলেই করিডোর পুনরায় চালু করা হবে।
অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া সহযোগিতা করুক আর না-ই করুক তারা বিশ্বে শস্য রপ্তানি চালিয়ে যাবে। কেননা বিশ্বকে খাদ্য সংকটে ফেলার একক অধিকার কারও নেই। জাতিসংঘ বলছে, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
মন্তব্য করুন