অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর প্রস্তাব উঠেছে জার্মানিতেও। দেশটিও যুক্তরাজ্যের মতো অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর প্রস্তাব করেছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জার্মানির অভিবাসনবিষয়ক কমিশনার জোয়াসিম স্ট্যাম্প এক মিডিয়া পডকাস্টে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। দেশটিতে গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভিড় বাড়ছে।
ইউরোপের এ দেশটিতে এশিয়া, আফ্রিকার পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শত শত মানুষের জন্য আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠেছে। ফলে সেখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।
পডকাস্টে অভিবাসনবিষয়ক কমিশনার বলেন, বছরে গড়ে ১০ হাজার বেশি অভিবাসী অবৈধভাবে জার্মানিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। আমরা শিগগিরই কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারলে সামনের দিকের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে রুয়ান্ডা ছাড়া আমাদের সামনে অন্যকোনো বিকল্প নেই।
রুয়ান্ডা পলিসি কী?
রুয়ান্ডা পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য সরকার সে দেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেবে। সেখানে তারা যুক্তরাজ্যে বসবাসের কোনো সম্ভাবনা ছাড়াই আশ্রয় চাইতে পারবে। এই প্ল্যান মূলত ২০২১ সালে করা, যখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন ও ঋষি সুনাক ছিলেন তার অর্থমন্ত্রী।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরপরই এই পরিকল্পনা করা হয়। কারণ ব্রেক্সিটের পরও যুক্তরাজ্যে বৈধ ও অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বিশেষ করে ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে।
২০২৩ সাল থেকে অবৈধ অভিবাসীনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানো শুরু করে ব্রিটেন। তবে ২০২৪ সালে দেশটিতে কেয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এ নীতি বাতিল করে দেন।
মন্তব্য করুন