পার্লামেন্টে নানা ইস্যু আলোচনার সময়ে উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে এবার সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। পার্লামেন্টে হট্টগোলের পর হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন সরকার ও বিরোধীদলীয় এমপিরা।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে তুরস্কের পার্লামেন্টে। শনিবার (১৭ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার তুরস্কের পার্লামেন্টের অধিবেশন চলাকালে বিরোধীদলীয় এমপি আহমেত সিকের বক্তব্য থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। এ সময় তিনি কারাবন্দি এমপি ক্যান আতালায়ের মুক্তির দাবি জানান। এমন দাবি জানানোয় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দলের কয়েকজন এমপি তার দিকে তেড়ে আসেন। তারা ওই এমপিকে উপর্যুপরি কিল-চড়-ঘুষি মারতে থাকেন।
আহমেতের ওপর এমন হামলা হলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন অন্যান্য বিরোধী এমপিরা। এ সময় দুপক্ষ পরস্পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
A fistfight broke out in Turkey's parliament when an opposition deputy was attacked after calling for his colleague, Can Atalay, to be admitted to the assembly. Atalay was jailed on charges of trying to overthrow the government but was since elected an MP https://t.co/M4NyyckHNu pic.twitter.com/HovObp0gAd
— Reuters (@Reuters) August 16, 2024ক্যান আতালায় সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং সরকার পতনসংক্রান্ত ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন। আদালত তাকে ২০২২ সালে ১৮ বছরের কারাদন্ড দেন। ২০১৩ সালে তুরস্কে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন আতালায়।
২০২৩ সালে কারাগার থেকে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয় পান আতালায়। গতকালের অধিবেশনে তাকে উদ্দেশ্য করে আহমেদ সিক বলেন, আপনারা যে আতালায়কে সন্ত্রাসী বলেন, তাতে আমরা অবাক হই না; কারণ যারা আপনাদের বিপক্ষে, তাদের সবাইকেই আপনারা সন্ত্রাসী বলেন।
তিনি বলেন, সত্য হলো যে আপনাদের কাছে যিনি ভয়ংকর সন্ত্রাসী তিনি এই পার্লামেন্টের একজন নির্বাচিত এমপি। আজ আমরা যে আসনে বসছি, এই পার্লামেন্টে এমন একটি আসন তার জন্যও নির্দিষ্ট। আহমেত সিক এমন মন্তব্য করায় তার ওপর অন্য এমপিরা তেড়ে আসেন।
জানা গেছে, শুক্রবার পার্লামেন্টে অধিবেশন পরিচালনা করছিলেন ডেপুটি স্পিকার। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় অধিবেশন তিন ঘণ্টার জন্য মুলতবি করা হয়। এরপর সেশন শুরু হলে স্পিকার অধিবেশন পরিচালনা করেন স্পিকার।
মন্তব্য করুন