ইউরোপের একেবারে প্রাণকেন্দ্রেই দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে যুদ্ধ। সে যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে পুরো বিশ্বের অর্থনীতির ওপর। অর্থনৈতিক ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছে না বিশ্ব। তার মধ্যেই ইউরোপে আবারও বেজে উঠছে যুদ্ধের দামামা। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি ব্রিটেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। এ যুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ইউরোপে। দুপক্ষ পরস্পরকে নানা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেন যদি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তবে উলট-পালট হয়ে যেতে পারে বিশ্ব মানচিত্র।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশ ছিল ব্রিটেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগের ধার আর নেই দেশটির। কিন্তু সামরিক শক্তির দিক দিয়ে এখনো বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ব্রিটেন। একইভাবে কূটনৈতিক প্রভাবেও তারা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
এবার দেশটির নতুন সেনাপ্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে তাদের। এজন্য সেনাবাহিনীর আক্রমণ সক্ষমতা দ্বিগুণ করতে চলেছে দেশটি।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ জেনারেল স্যার রলি ওয়াকার বলেছেন, পশ্চিমারা ‘অক্ষশক্তির উত্থান’ দেখছে, যাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর উচ্চাভিলাষ রয়েছে। এই দেশগুলোর যে কোনো একটির সঙ্গে সংঘাত ‘উল্লেখযোগ্য বিস্ফোরণ’ ঘটাবে। আর ব্রিটিশ সেনাপ্রধানের চোখে এই হুমকি আসতে পারে রাশিয়া, চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে।
যুক্তরাজ্য ও তার মিত্রদের ‘তিন বছর পর একটি যুদ্ধ প্রতিহত বা লড়ার’ জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানান জেনারেল ওয়াকার। বিশেষ করে ইরানের পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং ইউক্রেনে হামলা চালানোর মাধ্যমে রাশিয়ার সামরিকীকরণের প্রদর্শন দেখেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ব্রিটিশ সেনাপ্রধান।
যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৭ সালে তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে চীন। এজন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকতে ইরান পরমাণু চুক্তির শর্ত ভেঙে দিয়ে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারে।
এছাড়া রাশিয়ার এই যুদ্ধে চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মস্কোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই চোখের ঘুম উড়ে গেছে পশ্চিমা দেশগুলোর।
মন্তব্য করুন