ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি জার্মানির কাছ থেকে বড় ধাক্কা খেল ইউক্রেন। দেশটির সরকার বলছে, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেবে তারা। ২০২৪ সালে ইউক্রেনকে প্রায় ৮০০ কোটি ইউরো সমপরিমাণ সামরিক সহায়তা দিয়েছিল জার্মানি। তবে আগামী বছর সেই পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনবে দেশটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান বেশ শক্তিশালী। জোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের ভাগ্যে কী ঘটতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে এ ধরনের খবর পেল ইউক্রেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি জি-সেভেন দেশগুলো ইউরোপে থাকা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দের প্রস্তাব দেয়। সেখান থেকে যে অর্থ আসবে তা ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জার্মানিও জি-সেভেনের অন্তর্ভুক্ত। দেশটির বিশ্বাস, ওই অর্থ থেকেই ইউক্রেনের সামরিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তাই নিজেদের ওপর চাপ কমাচ্ছে জার্মানি।
কারণ, ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা খাতে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে অর্থনৈতিক উৎপাদনের ২ শতাংশ ব্যয় করতে হয়। জার্মানি ন্যাটোর এ চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। গত কয়েক বছরে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে জার্মানি।
এদিকে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের আশঙ্কা ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ইউক্রেনের জন্য তহবিলে কমিয়ে দেওয়া হতে পারে। সেই শঙ্কা আরও জোরালো হয়, যখন ট্রাম্প তার রানিংমেট হিসেবে সিনেটর জে ডি ভ্যান্সকে বেছে নিয়েছেন। ভান্স ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোরবিরোধী। অপরদিকে জার্মানির মতো দেশও সাহায্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বলা হচ্ছে, সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে ইউক্রেনের জন্য।
মন্তব্য করুন