ইউক্রেনের রাজধানীসহ প্রধান শহরগুলোতে এবার দিন-দুপুরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ ও বিভিন্ন শহরে ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। সোমবার (৮ জুলাই) পরিচালিত এই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। খবর এএফপির।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, কিয়েভের একটি শিশু হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন শহরে অবকাঠামো, বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন এবং মধ্য কিয়েভ থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা দেখা গেছে। এ ছাড়া কিয়েভের শিশু হাসপাতালের কর্মকর্তাদের পাঠানো ছবিগুলোতে দেখা যায়, মানুষ ধ্বংসস্তূপের মাঝে খনন করছে, ভেঙে পরা ভবন থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে।
হামলার পর ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রুশ সন্ত্রাসীরা’ আবারও বিভিন্ন শহর— কিয়েভ, দিনিপ্রো, ক্রিভি রিগ, স্লোভিয়ানস্ক, ক্রামতোর্স্কে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করেছে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, বিভিন্ন ধরনের ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আবাসিক ভবন, অবকাঠামো ও একটি শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওখমাদিত শিশু হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে অজানাসংখ্যক লোক আটকে পড়েছে এবং কতজন নিহত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয় বলেও জেলেনস্কি বলেছেন।
কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ছাড়া জেলেনস্কির নিজ শহর ক্রিভি রিগে হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বশেষ হামলাকে গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার মধ্যে একটি বলে অভিহিত করেছেন।
মন্তব্য করুন