কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কট্টর পুতিন সমর্থক অরবানের ইউক্রেন সফরের রহস্য কী?

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবানের সঙ্গে জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবানের সঙ্গে জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত

ইউরোপে ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের একজন ভিক্টর অরবান। অভিবাসনবিরোধী এই নেতা পুতিনের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। পশ্চিমারা যখন পুতিনকে কথার বাণে বিদ্ধ করছেন, তখন পুতিনকে পাশে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন অরবান। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবান এবার ইউক্রেনে গিয়ে হাজির হয়েছেন।

দুই বছরের বেশি সময় আগে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর এই প্রথম মঙ্গলবার (২ জুলাই) দেশটিতে গেলেন অরবান। খবর দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের।

ইউক্রেন সফরে গিয়েও বন্ধু পুতিনকে ভোলেননি অরবান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে পাশে দাঁড় করিয়ে ইউরোপের কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। কিছু দিন আগে পুতিনের দেওয়ার যুদ্ধবিরতি বিবেচনা করে, মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য জেলেনস্কিকে আহ্বান জানিয়েছেন অরবান। যুদ্ধবিরতি হলেই শান্তি আলোচনা ত্বরান্বিত হবে বলেও উল্লেখ করেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী।

এবারই প্রথম নয়, এর আগেও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে নিজের মতামত দিয়েছেন অরবান। জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের অনেকেই এর আগে পুতিনের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আলোচনা অপ্রয়োজনীয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, পুতিন তার কথায় ঠিক থাকবেন, এমনটা তারা বিশ্বাস করেন না। পশ্চিমা নেতাদের এমন মনোভাবের কারণেই রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ থামছে না।

চলমান এই সংঘাতে ইউক্রেনকে সামরিক শক্তি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বারবার পাশে থাকার উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু প্রতিবারই তাতে বাদ সেধেছেন অরবান। পুতিনের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই অরবানের মিল রয়েছে। দুই নেতাই নিজ নিজ দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দিয়ে থাকেন। আবার ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার পর জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফোরামে মস্কোর পাশে থেকেছে বুদাপেস্ট।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেয়েছেন অরবান। এরপরই মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বদল হয়। কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক এজেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজেদের অগ্রাধিকার বিষয় তুলে ধরতে পারেন। কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রেসিডেন্টকে একজন ‘সৎ মধ্যস্থতাকারী’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

গেল মাসের মাঝামাঝি পুতিন জানান, তিনি অবিলম্বে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আদেশ দিতে চান এবং আলোচনা শুরু করতে চান। তবে সেক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দুটি শর্ত মানতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। শর্ত অনুযায়ী, কিয়েভকে ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। আর চারটি অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইউক্রেনকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করতে হবে। তবে এমন প্রস্তাবে রাজি হয়নি ইউক্রেন। তাই এবার পুতিনের বার্তা নিয়ে কিয়েভ হাজির হলেন অরবান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সন্তানকে যেন হাত পাততে না হয়, আর্তনাদ অন্তঃসত্ত্বা সুমির

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইপিএলে নতুন ইতিহাস, ২৭ কোটিতে বিক্রি হলেন পান্ত

আসছে নতুন বৃষ্টিবলয়, কৃষকদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা

সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা

ইমরান খানের চূড়ান্ত ডাক / শহরে শহরে উত্তেজনা, গণঅভ্যুত্থানের দিকে যাচ্ছে পাকিস্তান?

১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইনে উঠে যুবকের কাণ্ড

ঢাকা ওয়াসায় চাকরির সুযোগ, নেবে ৭০ জন 

কোহলির সেঞ্চুরি ও বুমরাহর আগুনে বোলিংয়ে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়া

ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে বৃদ্ধা নিহত

১০

পবিপ্রবিতে র‍্যাগিংয়ে হাসপাতালে ৩ শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৭

১১

সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা-ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত

১২

ইউটার্ন নিলেন ট্রুডো, দাঁড়ালেন নেতানিয়াহুর বিপক্ষে

১৩

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১৪

মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে, দ্রুত নির্বাচন দিন : ডা. জাহিদ 

১৫

দাদা-দাদির কবরের পাশে শায়িত হলেন নাঈম

১৬

আলু পেঁয়াজ রসুন বীজের উচ্চ মূল্যে দিশাহারা কৃষক

১৭

ন্যাশনাল মেডিকেলে সংঘর্ষ, কালবেলার সাংবাদিকসহ আহত কয়েকজন

১৮

ময়মনসিংহে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ৬০ শিক্ষার্থী

১৯

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সবাই একমত : বদিউল আলম

২০
X