কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আরেকটি নতুন যুদ্ধ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী?

যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রতীকী ছবি
যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রতীকী ছবি

অবস্থা যা চলছে তাতে মনে হচ্ছে খুব শিগগিরই তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে নতুন এক যুদ্ধ দেখবে বিশ্ববাসী। এমনিতেই ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধ নিয়ে বেশ নাকাল ভূরাজনীতি।

এর মধ্যেই নতুন এক যুদ্ধের ধকল কতটা সইতে পারবে তার কোনো নির্দিষ্ট হিসাব নেই কারও কাছে। কিন্তু এত কিছুর পরও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এমনকি রণপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে পুনর্গঠন করেছেন সেনাবাহিনী। তবে কি যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে পারবে চীন? এমন প্রশ্নই সবার মুখে মুখে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের সামরিক উত্তাপ বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে তাইওয়ান। গেল মাসে স্বশাসিত দ্বীপটিতে সরকার গঠনের পর সর্বোচ্চ যুদ্ধ সক্ষমতা দেখাতে শুরু করেছে চীনা সামরিক বাহিনী।

এমনকি তাইয়ান ঘিরে সামরিক মহড়াও চালিয়েছে বেইজিং। ওই মহড়ার পর চীনের একজন সামরিক মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিতে তাদের সামরিক বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে।

মে মাসে চীনের নতুন বিমানবাহী রণতরী সাংহাই থেকে সমুদ্রে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের পর নৌবাহিনীতে সবচেয়ে বেশি বিমানবাহী রণতরীর দেশে নাম লিখিয়েছে চীন। এর আগে যুদ্ধ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গেল এপ্রিল মাসে চীনের সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের রদবদল করেন তিনি। এক দশকের মধ্যে চীনের সেনাবাহিনীতে এত বড় পরিবর্তন করা হয়নি।

জিনপিং জানান, আধুনিক যুদ্ধে জয়ী হতে নতুন কাঠামো চীনা সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে বেইজিং এখন যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হতে চায়। তাই তারা সেনাবাহিনী পুনর্গঠন করছে।

এরই মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর, পূর্ব চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালি ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেইজিং মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

বেইজিংয়ের প্রতি অভিযোগ করে ওয়াশিংটন বলেছে, আগ্রাসী আচরণ করে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করছে তারা। অন্যদিকে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে এশিয়া অঞ্চলে নাক গলানোর অভিযোগ করা হয়েছে।

এদিকে, ২১ জুন তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষের কট্টর সমর্থকদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি বিচারিক নির্দেশিকায় যুক্ত করে চীন। ফৌজদারি অপরাধের বিশেষ গুরুতর মামলার ক্ষেত্রে এ শাস্তি প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয় এতে।

নির্দেশনায় বলা হয়, তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে যারা ওকালতি করবেন, তাদের ১০ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। স্বাধীনতার প্রচেষ্টায় যারা মূল ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং রাষ্ট্র ও জনগণের মারাত্মক ক্ষতি করবেন, তাদের এ শাস্তি দেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধামরাইয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা আগামীকাল শুরু

আইইউবিএটির নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রি-ইউনিভার্সিটি ইংলিশ কোর্স চালু

তাসনিম সিদ্দিকী : হাতেকলমে গবেষণা শেখানোর এক বিরল কারিগর!

রাজনৈতিক শুভশক্তির অনুপস্থিতি ও পথভ্রষ্টের অগ্রগতি

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ‘ল’ অ্যালামনাই রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

সরকার ভুল সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই সমালোচনা করবেন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকায় ম্যানেজার নেবে মদিনা গ্রুপ

সিমেন্ট শিল্পের সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নাফীসের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাল বিসিবি

মাসজুড়েই বন্যার শঙ্কা

১০

আবারও মহাসড়ক অবরোধ করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

১১

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে / চলমান শিক্ষক আন্দোলনের দ্রুত যৌক্তিক সমাধান জরুরি

১২

কোয়ার্টারে ব্রাজিলের ম্যাচে আর্জেন্টিনার রেফারি

১৩

তিস্তার পানির ব্যবস্থাপনায় পাশে থাকবে মোদি জানালেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

১৪

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেবে সেভ দ্য চিলড্রেন

১৫

চাঁদ জয়ের প্রস্তুতি নিতে শিশুদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

১৬

৬ষ্ঠ দিনেও আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

১৭

টিউলিপ কী মন্ত্রী হচ্ছেন?

১৮

বন্যা নিয়ে দুঃসংবাদ দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর

১৯

জিম্মিদের মুক্তিতে মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত ফিলিস্তিনিরা

২০
X