সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ওঠা রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় মরিয়া হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। তিন দেশই এখন একে অপরের বন্ধু হয়ে আর যুক্তরাষ্ট্রের খবরদারি মানছে না।
ক্রমাগত শক্তি বাড়তে থাকায় এবার এই তিন দেশকে মোকাবিলায় নিজের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে না জড়িয়েই ওয়াশিংটনকে টক্কর দিচ্ছে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া। এই তিন দেশের জ্বালায় একটুও শান্তিতে থাকতে পারছেন না জো বাইডেন।
রাশিয়া ইউক্রেনের হামলার পর চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের অস্ত্র ব্যবহার করছে মস্কো। আর তাতেই আতঙ্ক ধরে গেছে ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের মনে।
কেননা, এই দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের খবরদারি চলে না। ভয় দেখিয়েও যেহেতু কাজ হচ্ছে না, তাই এবার নতুন কৌশলের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল আর্মস কন্ট্রোলের কর্মকর্তা প্রণয় বাদ্দি জানিয়েছেন, রাশিয়া, চীন ও অন্য শত্রুদের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় সামনের দিনগুলোতে আরও কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। আর প্রেসিডেন্ট যদি এমন সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তা বাস্তবায়নে আমাদের পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন দিন সত্যিই উপস্থিত হলে আমেরিকার জনগণ এবং আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সুরক্ষা দিতে আরও পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োজন হবে।
২০১০ সালে রাশিয়ার সঙ্গে করা নতুন স্টার্স্ট চুক্তির আওতায় ১ হাজার ৫৫০টির বেশি কৌশলগত পরমাণু ওয়্যারহেড মোতায়েন করা যাবে না।
যদিও গেল বছর মস্কো ওই চুক্তি থেকে নিজেদের বের করে আনে। ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের পর মস্কো এককভাবে ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়। বছর খানেক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান বলেছিলেন, রাশিয়া ও চীনের মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের পরিমাণ বাড়ানোর দরকার নেই।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্রে যে ধরনের বৈচিত্র্য আনছে এবং দ্রুত গতিতে অস্ত্র ভাণ্ডার বাড়াচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তাদের আগ্রহ কম বা নেই। ওয়াশিংটন মনে করে এই তিন দেশ এবং ইরান একে অপরকে সহযোগিতা করছে। আর এতে যুক্তরাষ্ট্র, তাদের মিত্র ও অংশীদাররা হুমকির মুখে পড়ছে আর আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ছে।
মন্তব্য করুন