বিশ্বব্যাপী পরাশক্তিগুলো যখন ইসরায়েলের নগ্ন দালালিতে ব্যস্ত তখন সবার বিপরীতে গিয়ে ফিলিস্তিনি ইস্যুতে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে চীন। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও গাজা যুদ্ধ বন্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং।
শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ফিলিস্তিনপন্থি পোস্টের মাধ্যমে ক্রমাগত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে বেইজিং। যার প্রমাণ মেলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল ঘুরে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি হামলা থেকে শুরু করে গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের বিভিন্ন ছবি, ভিডিও পোস্ট করেছে চীনা কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলার ছবিও পোস্ট করছে বেইজিং।
গাজা হামলার প্রতিবাদের পাশাপাশি ৭৬ বছর আগে ফিলিস্তিনিদের জীবনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিপর্যয়ের সঙ্গে বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের নিজ বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার ছবিও পোস্ট করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর ঘটে যাওয়া মানবিক অত্যাচার ও অবিচারের কথা উল্লেখ করে তার ইনসাফভিত্তিক সমাধান দাবি করে বেইজিং।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচার ছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলি গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায়ও ফিলিস্তিনের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে চীন। এমনকি জাতিসংঘে দেশটির পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তিতেও নিজেদের সমর্থনের কথা জানায় বেইজিং প্রশাসন।
এর আগে মার্চে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে দেখা করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দূত ওয়াং কেজিয়ান। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা গাজায় চলমান সংঘাত ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় ফিলিস্তিনের জাতীয় ঐক্যের খাতিরে হামাসের সঙ্গে বেইজিং তার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী বলেও জানান কেজিয়ান। তবে এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি চীন সরকার।
সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-আরব স্টেটস কো-অপারেশন ফোরামের বৈঠকে ফিলিস্তিনের জন্য আরও ৬৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেয় জিনপিং প্রশাসন।
এ সময় চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা যুদ্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না। চিরদিনের জন্য ন্যায়বিচার অনুপস্থিত থাকতে পারে না এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। যাতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।
মন্তব্য করুন