ক্ষেপনাস্ত্র এবং উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) প্রযুক্তিতে বেশ এগিয়ে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। গেল বছরের নভেম্বরে পৃথিবীর কক্ষপথে নিজেদের প্রথম ‘গোয়েন্দা’ উপগ্রহ পাঠিয়েছিল পিয়ংইয়ং। তবে এবার তাদের দ্বিতীয় নজরদারি উপগ্রহের উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া সফল হলো না।
দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, সোমবার (২৭ মে) স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে আরও একটি ‘গোয়েন্দা’ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল পিয়ংইয়ং। কিন্তু উৎক্ষেপণের চার মিনিটের মাথায় সেটি সাগরে ভেঙে পড়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ‘গোয়েন্দা’ উপগ্রহটি ভেঙে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এবারই প্রথম ইঞ্জিনের জ্বালানি হিসেবে তরল অক্সিজেন-পেট্রোলিয়াম ব্যবহার করেছিল উত্তর কোরিয়া। সেটির গোলযোগের কারণেই কয়েক মিনিটের মধ্যে সমুদ্রে ভেঙে পড়ে উপগ্রহটি।
চলতি বছরে এই ধরনের অন্তত ৩টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নিয়ে তার দেশ এগোবে বলে জানান কিম। বছরের প্রথম উপগ্রহটি এভাবে ভেঙে পড়ায় কিমের সেই কর্মসূচি কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।
এর একদিন আগেই, সিউলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়াং। বিষয়টি নিয়ে খুশি ছিলেন না কিম। সেই বার্তা দিতেই সোমবার এই রকেট উৎক্ষেপণের দিন ধার্য করা হয়েছিল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের বিরোধিতা করে সেদিনই বিবৃতি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা নষ্টের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ওই বৈঠকের আয়োজন করেছে বলে অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে।
উত্তর কোরিয়ার ওপর এই ধরনের উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে পিয়ংইয়ংয়ের এই উৎক্ষেপণের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া।
মন্তব্য করুন