আইনপ্রয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে তাদের মধ্যে অন্যতম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। এবার এক ইহুদি যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে তেহরান।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে মারামারি করে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ইরানে এক ইহুদি যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। এই যুবকের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত হত্যা’ সংঘটিত করার অভিযোগ ওঠে এবং পরবর্তীতে এটি প্রমাণিত হয়।
ইরানের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সময় আরভিন নাথানিয়াল গাহরামানি নামের এই যুবকের বয়স ছিল ১৮ বছর।
অসলোভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) জানিয়েছে, এই ইহুদি যুবকের বাড়ি দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের শহর কারমানশাহতে। শনিবার তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা ছিল। তবে তার পরিবারকে জানানো হয়েছে মৃত্যুদণ্ডটি সোমবার কার্যকর করা হবে।
ইরানের সরকারবিরোধী সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ইহুদি যুবক ছুরি হামলার শিকার হয়েছিলেন। তখন তিনি নিজেকে বাঁচাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
এর আগে শনিবার (১৮ মে) মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন।
নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) জানিয়েছে, ইরানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের উর্মিয়া কারাগারে মাদকের বিভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাঁচজন পুরুষের সঙ্গে দুজন নারীর মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পারভীন মোসাভি নামের দুই সন্তানের এক জননীও রয়েছেন।
এ ছাড়া নিসাপুরে ফাতেমিহ আব্দুল্লাহি নামের অপর এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
আইএইচআর জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইরানে ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।