রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২০

হামলায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নাগরিক। ছবি : সংগৃহীত
হামলায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নাগরিক। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের রাফাহ এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে গাজার রাফা শহরের মিশরীয় সীমান্তের দক্ষিণে প্রায় এক লাখের অধিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানকার বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালানো হলে ১৪ জন নিহত ছাড়াও অনেকে আহত হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আরও জানান, গাজার মধ্য উপত্যকার আল-নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতেও বিমান হামলা চালানো হয়। সেখানে অন্তত আরও ছয়জন নিহত হয়েছে বলে বলে জানা গেছে।

গাজা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে মধ্য গাজার একটি শহর দেইর আল-বালাহতে বজ্রপাতের সঙ্গে রয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ। বৃষ্টি বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাবান আবদেল-রউফ একটি চ্যাট অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বলেছেন, অবস্থা এমন যে বজ্রপাত এবং বোমা হামলার শব্দের মধ্যে পার্থক্য করতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা এক সময় বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতাম এবং দেরি হলে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করতাম। অথচ আজ আমরা প্রার্থনা করি যাতে বৃষ্টি না হয়। কারণ বৃষ্টি হলে বাস্তুচ্যুত মানুষের অনেক কষ্ট হবে।

এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, সোমবার (১৮ মার্চ) কাতারে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা আবার শুরু হওয়ার কথা ছিল। আমরা কাতার থেকে সুসংবাদের অপেক্ষায় আছি। কি হবে এবার? শুধু কি একটি চুক্তি সীল? নাকি অন্য কিছু! গাজায় দুই লাখের বেশি মানুষ তার জন্য অপেক্ষা করে আছে।

উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধের ৭ মাস অতিবাহিত হতে চলছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা প্রথমে ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে ইসরায়েলের অন্তত ১২শ লোক নিহত হয় এবং ২৫৩ জন ইসরায়েলকে জিম্মি করে হামাস। তারপর থেকে ইসরায়েলের আক্রমণে অন্তত ৩১ হাজরেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানান ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খুবিতে তৃতীয় নৈয়ায়িক ন্যাশনাল্সে চ্যাম্পিয়ন চবি

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি সমমনা জোটের

সিলেট কারাগারেই চিকিৎসা চলছে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের

৬ কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ : মাহফুজ

রায় দিয়ে ‘বাবার ট্রাস্টে’ টাকা নেন বিচারপতি

‘সাংবাদিকরা সমাজে মেডিয়েটরের ভূমিকা পালন করে থাকেন’

দুর্গাপূজায় সনাতনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি : মাহবুবের শামীম

নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন জবি

ষড়যন্ত্র বানচালে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : প্রিন্স

কার হাতে কত সোনার মজুত?

১০

পিএসসির চাকরির পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস

১১

যে কোনো সময় ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল

১২

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৩

লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন টুকু

১৪

কলেজ অধ্যক্ষকে বাঁচাতে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

১৫

প্রতিটি শহীদ পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া উচিত : মেজর হাফিজ

১৬

সংসদের মেয়াদ ৪ বছর চায় গণঅধিকার পরিষদ

১৭

আন্দোলনে হামলাকারী হেলমেট বাহিনীর অন্যতম সদস্য মনিরুল গ্রেপ্তার

১৮

বিএনপি সম্প্রীতির রাজনীতি করে : আমিনুল হক

১৯

আ.লীগ শাসনামলেই হিন্দু সম্প্রদায় বেশি অত্যাচারিত হয়েছে : অ্যাডভোকেট সালাম

২০
X