বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে অবতরণ করে জাপানের চন্দ্রযান। দেশের ঐতিহাসিক এই অর্জন নিয়ে জাপানিরা যখন আনন্দে আত্মহারা তখনই আসে দুঃসংবাদ। চাঁদের মাটি স্পর্শ করার মাত্র তিন ঘণ্টা পরই জাপানি চন্দ্রযানটি বন্ধ করে দিতে হয়। ফলে জাপানিদের আনন্দ-উৎসব শোকের কালো ছায়ায় ঢেকে যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। তবে এমন শোকের সময়ে দেশবাসীকে আবারও আশার আলো দেখাচ্ছে জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাক্সা।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানি চন্দ্রযান মুন স্নাইপারের ল্যান্ডার এখানো বেঁচে উঠতে পারে। তবে শর্ত একটাই। এ জন্য লাগবে সূর্যের আলো। সূর্যের আলো ঠিক জায়গায় পড়লেই বেঁচে উঠবে জাপানি চন্দ্রযান।
এক বিবৃতিতে জাক্সা বলেছে, যদি ভবিষ্যতে সূর্যের আলো পশ্চিম থেকে চাঁদে পড়ে তাহলে আমাদের ধারণা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বর্তমানে মহাকাশযানটি পুনরায় সচল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গত শনিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে জাপানের চন্দ্রযান মুন স্নাইপার। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের পর পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে সফলভাবে অবতরণ জাপান। তবে অবতরণের কিছুক্ষণ পরই দেখা যায় চন্দ্রযানে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ কমে গেছে। এ জন্য চন্দ্রযানটিকে চিরদিনের তরে বন্ধ করে দেওয়ার চেয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাপানি বিজ্ঞানীরা।
জাক্সা তখন জানায়, আমাদের কার্যপ্রক্রিয়া অনুযায়ী ১২ শতাংশ বিদ্যুৎ অবিশিষ্ট থাকতেই ব্যাটারির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। যাতে ল্যান্ডারটি পুনরায় চালু করতে কোনো বাধার মুখে না পড়তে হয়। ফলে মহাকাশযানটি স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টা ৫৭ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন