ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। হামলার ঘটনার একদিন পর বুধবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা সর্বত্র এবং সব ধরনের সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করি।’
তবে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা ও কর্মকর্তারা পাকিস্তানের এই বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারছেন না বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন, হামলাকারী দলটির মধ্যে দুজন ‘বিদেশি নাগরিক’ ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, চারজন সন্ত্রাসী ছদ্মবেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল তাদের মধ্যে দুজন সাধারণ পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এই হামলায় অন্তত ২৫ পর্যটক ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হন এবং আরও অনেকেই গুরুতর আহত হন। ২৬/১১ মুম্বাই হামলার পর এটি ভারতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনন্তনাগ জেলার এই হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। একইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনাও জানানো হয়েছে।
তবে দিল্লির মতে, পাকিস্তানের এই প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক কৌশলের অংশ মাত্র। কারণ, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) ইতোমধ্যেই এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলার সময়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ মাত্র এক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির কাশ্মীরকে ইসলামাবাদের ‘জুগুলার ভেইন’ (জীবনরেখা) হিসেবে আখ্যা দেন। তার এই মন্তব্য ভারতের কূটনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনার গভীর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন