সম্প্রতি চীন একটি নতুন ধরনের হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। পারমাণবিক উপাদান ছাড়াই এ বোমাটি পরিচালিত হয়েছে। ‘ক্লিন এনার্জি’ বা হাইড্রোজেন বোমা প্রচলিত অন্য যে কোনো ধরনের তুলনায় অনেক বেশি তাপ উৎপন্ন করে এবং দীর্ঘস্থায়ী আগুন সৃষ্টি করতে সক্ষম।ক্ষমতার দিক দিয়েও এটি অন্য সব বোমার চেয়ে অনন্য।
হাইড্রোজেন বোমার বিধ্বংসী ক্ষমতা হাইড্রোজেন বোমা, যা থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা নামেও পরিচিত, একটি দ্বিতীয় প্রজন্মের পারমাণবিক অস্ত্র। এটি ফিশন এবং ফিউশন প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে তৈরি হয়, যার ফলে এটি প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক বোমার তুলনায় শতগুণ বেশি শক্তিশালী। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘জার বোমা’ প্রায় ৫০ মেগাটন টিএনটি সমতুল্য শক্তি উৎপন্ন করেছিল, যা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ব্যবহৃত বোমার তুলনায় প্রায় ৩,৩০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
ব্যাপক তাপের সৃষ্টি চীনের গবেষকরা সম্প্রতি একটি হাইড্রোজেনভিত্তিক বিস্ফোরক ডিভাইসের সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন, যা পারমাণবিক উপাদান ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে। এই ২ কেজি ওজনের বোমা ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার আগুনবল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা টিএনটি বিস্ফোরণের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল।
এই বোমার বিস্ফোরণ প্রচলিত বিস্ফোরকের তুলনায় কম চাপ সৃষ্টি করলেও, এটি অনেক বেশি তাপ উৎপন্ন করে এবং দীর্ঘস্থায়ী আগুন সৃষ্টি করতে সক্ষম। এর ফলে এটি ড্রোনের ঝাঁক বা নির্দিষ্ট এলাকায় লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে কার্যকর হতে পারে।
বিধ্বংসী প্রভাব এই ধরনের বোমার তাপমাত্রা ১,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা আশপাশের ধাতব বস্তু গলিয়ে ফেলতে সক্ষম। এটি বিস্ফোরণের স্থায়িত্ব এবং তাপমাত্রার কারণে প্রচলিত বিস্ফোরকের তুলনায় অনেক বেশি বিধ্বংসী।
সূত্র : ওয়ারড, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ও অন্যান্য
মন্তব্য করুন