আরেক দেশকে নিয়ে বিশাল যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের ১৪ হাজারের বেশি সেনা নিয়ে শুরু হওয়া এ মহড়া আগামী ৯ মে পর্যন্ত চলবে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। বালিকাতান নামের এ মহড়ার অর্থ অর্থাৎ কাঁধে কাঁধ মেলানো। এতে অংশ নিয়েছে ১৪ হাজারের বেশি ফিলিপিনো ও মার্কিন সেনা। আগামী ৯ মে পর্যন্ত এ মহড়া চলবে। এটি দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ানকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ প্রস্তুতির পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চলতি বছরের মহড়ায় অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নেমেসিস অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম ও হিমারস রকেট লঞ্চার, যা সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের অংশ। ফিলিপাইনও এবার তার লাইভ ফায়ার (সরাসরি গোলাবর্ষণ) অনুশীলনে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করবে।
মার্কিন পক্ষের মহড়া পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেমস গ্লিন জানান, এ বছরের মহড়াটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ পরীক্ষার মতো, যেখানে উভয় দেশের সামরিক ক্ষমতা একাধিক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে পরিমাপ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি প্রতিরোধ, সমুদ্রপথে আক্রমণ প্রতিরোধ এবং একটি পুরনো ফিলিপাইনি নৌযান ডুবিয়ে দেওয়ার মহড়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর মহড়ায় ৯ হাজার মার্কিন এবং ৫ হাজার ফিলিপিনো সেনা অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডার ছোট ছোট দল অংশ নিচ্ছে। মহড়ায় ১৬টি দেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে মহড়ায় যুক্ত হয়েছে।
মহড়ার সময় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, তাইওয়ান ইস্যুকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে যে কোনো দেশ যদি সামরিক মোতায়েন বাড়ায় বা উত্তেজনা উস্কে দেয়, চীন তা দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করবে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যারা আগুন নিয়ে খেলবে, তারা নিজেরাই পুড়ে যাবে।
ফিলিপাইন পক্ষের মহড়া পরিচালক মেজর জেনারেল ফ্রান্সিসকো লরেঞ্জো বলেন, এই মহড়া কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়। বরং এটি সম্ভাব্য হামলা বা জোরপূর্বক অবস্থান দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার অংশ। তিনি আরও বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে এর মাধ্যমে একটি প্রতিরোধমূলক বার্তা যেতে পারে।”
মন্তব্য করুন