যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। দেশটি জানিয়েছে, হিমালয়ঘেঁষা চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতের বিভিন্ন বিষয়ে অসদাচরণের অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিব্বত ইস্যুতে ‘অসদাচরণ’ করার অভিযোগে কিছু মার্কিন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তটি এসেছে এমন এক সময় যখন মাত্র দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র চীনা কর্মকর্তাদের ওপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ তোলে, তিব্বত ও আশপাশের অঞ্চলে মার্কিন কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান জানান, তিব্বত সম্পর্কিত বিষয় চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তিব্বত নিয়ে চীনা কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পর্কের মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে।
চীন দাবি করেছে, তিব্বত ‘উন্মুক্ত’ এবং বিদেশি পর্যটকরা গ্রুপে ভ্রমণ ও আগাম পারমিটের মাধ্যমে সেখানে যেতে পারেন। তবে কূটনীতিক ও বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন।
লিন বলেন, তিব্বত বন্ধ নয়। চীন বিশ্বের বন্ধুপ্রতিম মানুষদের তিব্বত ভ্রমণ, ব্যবসা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য স্বাগত জানায়। কিন্তু তথাকথিত মানবাধিকার, ধর্ম বা সংস্কৃতির অজুহাতে তিব্বতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ চীন মেনে নেবে না।
১৯৫০ সালে চীন তিব্বত দখল করে, যাকে তারা ‘সার্ফবাদের শৃঙ্খল থেকে শান্তিপূর্ণ মুক্তি’ বলে বর্ণনা করে। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও নির্বাসিত তিব্বতীরা চীনের শাসনকে দমনমূলক বলে অভিযোগ করে আসছে।
মন্তব্য করুন