শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে, যা দেশটির সামরিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২,০৫৬ জনে পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩,৯০০ জনেরও বেশি মানুষ এবং ২৭০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থা। সংকটময় পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ জরুরি ত্রাণ হিসেবে ৮০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোকে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
জাতিসংঘের মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানবিক সাহায্য যাতে মিয়ানমারে পৌঁছাতে পারে এবং কোনো ধরনের বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য যুদ্ধবিরতি হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
এদিকে, ভূমিকম্পের পরও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের হামলা অব্যাহত রয়েছে। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। এ সময় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলেও পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল হয়নি।
মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের কাছে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং পরিস্থিতি সামলাতে দেশটির জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন