মিয়ানমারের একটি হোটেলের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার তিন দিন পর ওই নারী জীবিত থাকায় উদ্ধার অভিযানে নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) ফেসবুকে চীনা সরকারের একটি পোস্ট অনুসারে, মান্দালয় শহরের গ্রেট ওয়াল হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের উদ্ধারকারীদের মধ্যে নতুন উদ্দম ছড়িয়ে পড়ে। তারা ধ্বংসস্তূপে আরও জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
একই সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। গত কয়েক ঘণ্টায় অন্তত ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১,৭০০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২,০২৮ এ পৌঁছেছে। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে নতুন মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি।
গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল দেশটির মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭.২ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আফটার শক হয়। ভূমিকম্পের পর রাজধানী নেপিডো, মান্দালয়, সাইগাইংসহ ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাহায্য চেয়েছে জান্তা সরকার। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমারে ভূমিকম্পে কেঁপেছে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়া। এর মধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে থাইল্যান্ডে।
থাইল্যান্ডে ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা চাপা পড়েছেন তাদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে। কিন্তু অপ্রতুল সরঞ্জাম এবং জটিল পরিস্থিতির কারণে উদ্ধারে দেরি হওয়ায় তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে।
মন্তব্য করুন