মিয়ানমারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা সহজেই ১০,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের মডেলের অনুমান এ আভাস দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) শুক্রবার মধ্যরাতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটি অনুমান প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, মডেলিংয়ের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১০,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং আরও অনেক বেশিও হতে পারে। জনবহুল এলাকা এবং কাছাকাছি স্থাপনাগুলোর ঝুঁকির কারণে মৃতের সংখ্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাণহানি ছাড়াও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষতির পরিমাণ আর্থিক, পরিবেশগত এবং সার্বিক সম্পদ মিলিয়ে ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়াতে পারে। দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড ও গেফার্ড ডেইলি ইউএসজিএসর সূত্রে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করে।
শুক্রবার মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং শত শত আহত হয়েছেন। কয়েক ডজন ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে আটকে পড়া অনেকে গুরুতর আহত হওয়ায় উদ্ধার বিলম্ব হলে তারাও মারা যেতে পারেন।
মধ্য মায়ানমারের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে শুক্রবার বিকেলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কয়েক মিনিট পরেই ৬.৪ মাত্রার একটি আফটারশক আঘাত হানে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারের বিভিন্ন অংশে ভবনগুলো ভেঙে পড়ে। সেতু ভেঙে এবং রাস্তাঘাটে ফাটল ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। তবে ব্যাংককের অদূরে নির্মাণাধীন একটি ৩০ তলা আকাশচুম্বী ভবন ভেঙে পড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে ভূমিকম্পে কেঁপেছে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ। প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার (৬২০ মাইল) দক্ষিণে থাই রাজধানী ব্যাংককেও ভবন কেঁপে ওঠে এবং শত শত মানুষ আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসে। স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তেমনি বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন