মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে । শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। এতে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
এদিকে মিয়ানমারে ভূমিকম্পে কেঁপেছে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ। প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার (৬২০ মাইল) দক্ষিণে থাই রাজধানী ব্যাংককেও ভবন কেঁপে ওঠে এবং শত শত মানুষ আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসে। স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তেমনি বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে উৎপত্তিস্থলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা উৎপত্তি স্থলে ছিল ৭.৭। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এরপর একটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭.২ কিলোমিটার দূরে, যার জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ।
মান্দালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মান্দালয় ফায়ার সার্ভিসেস বিভাগের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করার জন্য ইয়াঙ্গুনে অনুসন্ধান এবং অভিযান শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলোতে ধসে পড়া ভবন এবং শহরের রাস্তায় ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে পোস্টগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
মন্তব্য করুন