কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এরদোয়ানের গদি বাঁচিয়ে দিবেন ট্রাম্প?

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান (বামে), মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান (বামে), মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

কঠিন এক সময় পার করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। দুই দশক শক্ত হাতে আঙ্কারাকে শাসন করেছেন তিনি। ক্ষমতার চেয়ার আগলে রাখার জন্য কখনো হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, আবার কখনো হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এই সময়ে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ক্ষমতায় টিকে গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চাপের মুখে পড়েছেন তুরস্কের ৭১ বছর বয়সী এই লৌহমানব।

আগামী নির্বাচনে এরদোয়ান হেরে যেতে পারেন বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। তবে হার মানতে নারাজ তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মধ্যবর্তী নির্বাচন দেওয়ার মাধ্যমে ক্ষমতাটাকে আরও দীর্ঘমেয়াদি করার পরিকল্পনা করছেন এরদোয়ান। কিন্তেু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তানবুলের মেয়র একরাম ইমামোগলু।

ইস্তানবুলের মেয়র নির্বাচনে দুই দফা এরদোয়ান সমর্থিত প্রার্থীকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন এই ইমামোগলু। শেষমেশ ঘোষণা দেন- এরপর প্রেসিডেন্ট পদে এরদোয়ানের বিপক্ষে দাঁড়াবেন জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ। যে খবরে নড়েচড়ে বসেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ওই ঘোষণার কিছু দিনের মধ্যেই দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয় ইমামোগলুকে।

ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ইস্তানবুলের রাস্তায় নেমে পড়েন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা উল্লেখ করেন তারা। জানান, ইমামোগলুকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন এই আন্দোলন।

স্থানীয় সময় বুধবার টানা সপ্তম দিনের মতো ইস্তানবুলের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়ে গেছেন আন্দোলনকারীরা। দিন দিন বাড়ছে এই বিক্ষেভের পরিসর। রাজধানী আঙ্কারাসহ তুরস্কের বিভিন্ন শহরেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভের দাবানল। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাকে গণঅভ্যুত্থানের লক্ষণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ধারণা করা হচ্ছে- এরদোয়ানের ক্ষমতায় থাকাটা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাচ্ছে।

তবে, বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, ইমামোগলু ইস্যুতে এরদোয়ানের ওপর তেমন কোনো চাপ নেই। এই ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ ছাড়া তেমন উচ্চবাচ্য করছে না যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। ফলে, মনে হচ্ছে নড়বড়ে হয়ে যাওয়া এরদোয়ানের গদিটা একপ্রকার বাঁচিয়েই দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ন্যাটোভুক্ত দেশ হওয়ার পরও রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এরদোয়ান। এ জন্য বিগত বাইডেন প্রশাসন তার ওপর ছিল কঠোর। কিন্তু সেই কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ, ট্রাম্প নিজেও রাশিয়ার বিষয়ে নমনীয়। ফলে, এরদোয়ান হটানো কিংবা তাকে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে নীরব থাকছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার এই নীরবতাই বাঁচিয়ে দিচ্ছে এরদোয়ানের গদি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদে নিরাপত্তা হুমকি নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কিশোর পলাশ ও ক্ষ্যাপার ‘যামুগারে পাগলা’

আব্দুল জব্বারকে নিয়ে যা বললেন আসিফ আকবর   

প্রশিক্ষণ দিলেন মিলা 

এবার রোজায় দ্রব্যমূল্যে সন্তুষ্ট ৯৫ শতাংশ মানুষ

ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীর ধর্ষণচেষ্টার মামলা

ঈদযাত্রায় যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত 

সরকার পতনে জবির ৫ শিক্ষক-কর্মকর্তার বেতন বন্ধ

পদ্মা সেতুতে ১২ ঘণ্টায় টোল আদায় ২ কোটি টাকা

অস্ত্র খুঁজতে গিয়ে মিলল শতাধিক বস্তা ব্যালট পেপার

১০

যেসব কারণে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয় 

১১

গাইবান্ধায় ট্রাক্টর-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

১২

ঈদ করতে গ্রামে গিয়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল শিশুর

১৩

চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে 

১৪

চুরির অপবাদে শিশু নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২

১৫

কুমিল্লায় অস্ত্র ও ইয়াবাসহ ২ ভাই গ্রেপ্তার

১৬

চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

১৭

চোট কাটিয়ে মায়ামির হয়ে মেসির মাঠে ফেরার ইঙ্গিত

১৮

মুক্তি পেয়েছে জয়ার ‘জিম্মি’

১৯

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে ঘরে তালা দিয়ে পালালেন স্বামী

২০
X