তালেবান সরকারের আফগানিস্তান শুরু করেছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। তবে আগের বছরের মতো এবারও দেশটিতে মেয়েদের শিক্ষার সীমাবদ্ধতা বজায় রাখা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলে পড়ার সুযোগ নেই।
নতুন শিক্ষাবর্ষ উদ্বোধন উপলক্ষে দেশটির রাজধানী কাবুলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী হাবিবুল্লাহ আঘা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটির শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসছে। তিনি জানান, স্কুলের সিলেবাস পুনরায় পরীক্ষা করে যেসব বিষয় ইসলাম ও আফগান সংস্কৃতির পরিপন্থি পাওয়া যাবে, তা বাদ দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এমন কারিকুলাম তৈরি করব, যা ধর্মীয়, আধুনিক এবং আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। কেউ এটিকে মেনে নিক বা না নিক, আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব।
তিনি আরও বলেন, নতুন কারিকুলামে ধর্মীয় শিক্ষা ও আধুনিক বিজ্ঞানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে কী ধরনের পরিবর্তন আনা হবে বা কোনো বিষয়গুলো বাদ দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
তবে তালেবান সরকারের এই অনুষ্ঠানে মেয়েদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে কিনা, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর তালেবান সরকার মেয়েদের শিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণির পর বন্ধ করে দেয়। যদিও মাদ্রাসাগুলোতে তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
আফগানিস্তানে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তালেবান সরকারের এই নীতির সমালোচনা করেছে। কিন্তু তালেবান প্রশাসন নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে এবং বলছে, তারা ইসলামি শিক্ষা ও আফগান সংস্কৃতির ভিত্তিতে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করবে।
আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৪০৪ সৌরবর্ষের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তালেবান সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশটির শিক্ষাব্যবস্থাকে কোন পথে নিয়ে যাবে এবং আন্তর্জাতিক মহল এ নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা সময়ই বলে দেবে।
মন্তব্য করুন