বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জীয় রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশ ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। তবে এতে সুনামির সৃষ্টি হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
তবে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থার রিখটার স্কেলে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্পের তীব্রতা রেকর্ড করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, কম্পনের মাত্রা জোরাল ছিল। ফলে অনেক বাসিন্দা দৌড়ে ঘরের বাইরে আসেন। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে দূরবর্তী খোলা স্থানে চলে যান।
স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার কেন্দ্রস্থল পূর্ব বোলাং মংগোন্ডো রিজেন্সি থেকে ৪৫ কিলোমিটার (২৭.৯ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল)।
নিকটবর্তী গোরোন্তালো প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। দেশটির সংস্থাটি থেকে কোনো সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের পাশে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পের দিক থেকে সক্রিয় দেশগুলোর মধ্যে একটি করে তুলেছে।
ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর, উত্তর-পূর্ব ওশেনিয়া অঞ্চলের অন্তর্গত এবং ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী অবস্থানে নিরক্ষরেখা বরাবর সমুদ্রে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জীয় রাষ্ট্র। দেশটি মালয় দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। পাঁচটি বৃহৎ দ্বীপ দেশটির প্রায় ৯০% আয়তন গঠন করেছে। এগুলো হলো- সুমাত্রা, জাভা, সুলাওয়েসি, বোর্নিও দ্বীপের দক্ষিণ তিন-চতুর্থাংশ (কালিমান্তান) ও নিউ গিনি দ্বীপের পশ্চিম অর্ধাংশ (পাপুয়া)। ছয় হাজারেরও বেশি দ্বীপে মানববসতি আছে।
মন্তব্য করুন