বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের সময় জানিয়েছে নেপাল। দেশটি জানিয়েছে, আগামী জুনে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
সোমবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম নেপাল মনিটনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট সরবরাহ শুরু করবে নেপাল, যা নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। গত বছর বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের গ্রিডের মাধ্যমে এ বিদ্যুৎ বাংলাদেশে স্থানান্তর করা হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তি সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে। গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সাথে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির সচিবালয়ে এক বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো শক্তি সরবরাহ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করা। বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। এই সহযোগিতার মাধ্যমে গ্রিডে আরও বিদ্যুৎ যোগ করে সেই চাপ কমাতে চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সূত্র অনুসারে, ২০২৫ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে দেশটি। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনা হবে ৮ দশমিক ১৭ রুপি দরে। এর মধ্যেই থাকবে ভারতের সঞ্চালন লাইনের খরচ। দেশটি বিদ্যুৎ পাঠাবে দুটি কেন্দ্র থেকে। এর মধ্যে ২৫ মেগাওয়াট ত্রিশূলী এবং ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে চিলমি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট থেকে।
এর আগে ২০২৪ সালের মে মাসে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী নেপালের ত্রিশুলি প্রকল্প থেকে ২৪ মেগাওয়াট এবং অন্য একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৬ মেগাওয়াটসহ মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের সরাসরি কোনো সীমান্ত না থাকায় বিদ্যুৎ আমদানি হবে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে।
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে এখন দুটি সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে নেপালের বিদ্যুৎ আনতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার এইচভিডিসি সাব-স্টেশন ব্যবহার করা হবে। ভেড়ামারার এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার সক্ষমতা রয়েছে। তবে বর্তমানে এ সাব-স্টেশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন