কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাকরিতে নতুন নিয়ম, ২ মিনিটের বেশি বাথরুমে থাকলেই শাস্তি!

শৌচাগারে কর্মীদের এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। ছবি : সংগৃহীত
শৌচাগারে কর্মীদের এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। ছবি : সংগৃহীত

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কিছু না কিছু নিয়ম-কানুন থাকে, যার মাধ্যমে কর্মীদের কাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়। তবে সম্প্রতি চীনের একটি প্রতিষ্ঠান যে নতুন নিয়ম চালু করেছে, তা বেশ অবাক করেছে সবাইকে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির গুয়াংডং প্রদেশের ‘থ্রি ব্রাদার্স মেশিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’ তাদের কর্মীদের জন্য একটি অদ্ভুত শৌচাগার ব্যবহারের নিয়ম ঘোষণা করেছে, যার ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তীব্র হয়ে উঠেছে।

এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শৌচাগারে মলত্যাগ বা প্রস্রাব করতে গেলে কর্মীদের মুক্ত সময় মাত্র দুই মিনিট। দুই মিনিটের বেশি সময় শৌচাগারে কাটানো যাবে না। প্রতিষ্ঠানটির নতুন ‘টয়লেট ইউসেজ ম্যানেজমেন্ট রুল’ অনুযায়ী, কর্মীদের শৌচাগারে যাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। কর্মীদের এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

যদি কোনো কর্মী শারীরিক কারণে নির্ধারিত দুই মিনিটের বেশি সময় শৌচাগারে থাকতে চান, তবে তাকে এইচআর (মানবসম্পদ) বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে, অনুমতি ছাড়া কেউ যদি দুই মিনিটের বেশি সময় শৌচাগারে কাটাতে চান, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যদিও সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

চলতি মাসের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। কর্মীদের শৌচাগারে যাওয়ার জন্য শুধু সময়ের সীমা নয়, নির্দিষ্ট স্লটও দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতিটি কর্মীকে তার নির্ধারিত সময়ে শৌচাগারে যেতে হবে।

এই নতুন নিয়মের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বিশেষত কর্মী ইউনিয়নগুলো এই নিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তারা বলছেন, এটি কর্মীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে এবং তাদের জন্য অমানবিক।

বিভিন্ন কর্মীও এই নিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তবে কিছু কর্মী জানিয়েছেন, তাদের এজেন্সি থেকে এমন কোনো নির্দেশনা আসেনি, যার মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা হতে পারে।

কিছু কর্মীর মতে, এই ধরনের কঠোর নিয়মের উদ্দেশ্য কর্মীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, তবে বাস্তবতা হলো, এই নিয়ম কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কর্মীদের এমন ব্যক্তিগত প্রয়োজনের সময় নিয়ন্ত্রণ করার ফলে তারা মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে পারেন এবং তাদের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘মার্চে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব’

ডব্লিউএইচও ও এফসিটিসি নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক

আশুলিয়া-সাভারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ১০

রাজশাহীতে ডেভিল হান্টের তিনজনসহ গ্রেপ্তার ১৬ জন

অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে সীমান্তে যুবক আটক

তামাকের আগ্রাসন দীঘিনালায়, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

দক্ষিণ ঢাকায় জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেব না : ইশরাক

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই বিপ্লবে আহতের পাশে তারেক রহমান

১০

কোহলির শতরানে পাকিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ

১১

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এবি পার্টির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

১২

ফাঁকা পড়ে আছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, বারান্দায় খড়ের স্তূপ

১৩

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বহিষ্কার

১৪

জঙ্গি নাটকে পাঁচ বছর কারাগারে খুবির দুই শিক্ষার্থী

১৫

স্টুডিওতে ছবি তুলতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ মাদ্রাসাছাত্রীর

১৬

গাজী মুনছুর আজিজের ভ্রমণগল্প ‘পাখির খোঁজে বাংলাজুড়ে’র প্রকাশনা উৎসব

১৭

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেত্রী শিরীন / ‘আধা শতাংশ জমির দাম ১০ কোটি কীভাবে হয়?’

১৮

জানা গেল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি না দেওয়ার কারণ

১৯

ধর্ষণের শিকার দাবি করা সেই শিক্ষার্থীর বিষয়ে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

২০
X