কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই কোরিয়ার নাগরিকদের ‘পুনর্মিলন কেন্দ্র’ ভেঙে ফেলছেন কিম

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

কোরিয়া যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিভক্ত হয় কোরীয় উপদ্বীপ। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দুই কোরিয়ার লাখ লাখ পরিবার। এসব পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা রাখলেও দুই দেশে অবস্থানের কারণে তাদের সাক্ষাৎ হয়ে যায় বিরল। এমনকি অনেকে জানেনও না সীমান্তের ওপারে তাদের স্বজনরা বেঁচে আছেন কিনা।

সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই দেশের নাগরিকরা চিঠি, ফোন এমনকি ই-মেইলেও কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারেন না। তবে এর মধ্যেই একটি আশার আলো হয়ে ওঠে দুই কোরিয়ার সমঝোতায় গৃহীত উদ্যোগ ‘পারিবারিক পুনর্মিলন কেন্দ্র’।

১৯৮৫ সালে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবারের মতো এই ধরনের পুনর্মিলনীর আয়োজন করে। ২০০০ সালে দুদেশের মধ্যে এক ঐতিহাসিক সম্মেলনের পর উত্তর কোরিয়ার কুমগং অবকাশযাপন কেন্দ্রকে এ পুনর্মিলনীর আয়োজনের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। এর পর থেকেই সেখানে দুদেশের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর অশ্রুসিক্ত পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ তাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আবেদন জানালেও এর মধ্যে বাছাই করা মাত্র কয়েকশ আবেদনকারী পারিবারিক পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। প্রথম দিকে নিয়মিত এই আয়োজন করা হলেও দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে এই আয়োজন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। শেষবার ২০১৮ সালে এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল।

তবে বৃহস্পতিবার সিউল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া পারিবারিক পুনর্মিলন কেন্দ্রটি ভেঙে ফেলছে। একইসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, মাউন্ট কুমগাং পুনর্মিলন কেন্দ্র ধ্বংস করা একটি অমানবিক কাজ যা বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলির আন্তরিক ইচ্ছাকে পদদলিত করে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক বছরের পর বছর ধরে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সম্প্রসারণ চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে গত বছর উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

কিম দক্ষিণকে তার ‘প্রধান শত্রু’ বলে ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি দুই কোরিয়া পুনঃএকত্রীকরণের দীর্ঘস্থায়ী লক্ষ্য পরিত্যাগ করার ঘোষণা দিচ্ছেন। এরইমধ্যে পিয়ংইয়ং ‘পারিবারিক পুনর্মিলন কেন্দ্র’ বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিল। ফলে বিচ্ছিন্ন হাজার হাজার পরিবারের তাদের প্রিয়জনদের আবার দেখার আশা আরও ক্ষীণ হয়ে এলো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘হতাশা কাজ করছে, প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ চলছে না’

প্রবাসীদের জন্য সুখবর

খালেদা জিয়ার ছবি পোড়ানো সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

নির্বাচন ডিসেম্বরেও হতে পারে : দুবাই সামিটে ড. ইউনূস

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টাইগারদের সহ-অধিনায়ক মিরাজ

রাজশাহীতে অপারেশন ডেভিল হান্টে আটজন গ্রেপ্তার

‘জাতিসংঘ ঘোষিত গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বহিষ্কার করুন’

রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বাতিলের আলটিমেটাম

স্বামী-সন্তানের সামনে গণধর্ষণ, ৮ বছর পর বিচার পেলেন নারী

বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির প্রতিবাদ

১০

টাঙ্গাইলে বাধার মুখে লালন স্মরণোৎসব স্থগিত

১১

নন-ক্যাডারের ১,৮২৫ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১২

পুরস্কারের সনদে শেখ হাসিনার স্লোগান

১৩

জবি ছাত্রদলের ৪৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি 

১৪

গলায় ডিম আটকে শিশুর মৃত্যু

১৫

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে নথি প্রেরণ, অপেক্ষায় ঢাকা

১৬

যুক্তরাষ্ট্র সফরে মোদির নজর কোন দিকে?

১৭

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির নতুন তথ্য ফাঁস

১৮

‘দ্রুত চালু হবে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়’

১৯

শবে বরাতে আতশবাজি-পটকা ফোটানোয় সিএমপির নিষেধাজ্ঞা

২০
X